আতিক পারভেজ (ঝিনাইদহ)প্রতিনিধিঃ এই দেশটিকে যারা জীবন বাজি রেখে স্বাধীন করেছে,আজ স্বাধীন দেশে বসবাস করে তারাই যদি পরাধীনতায় ভূগে তাহলে এর চাইতে বড় দুঃখ আর নাই,এই লজ্জা গোটা বাঙ্গালী জাতীর,একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার রাস্তা বন্দী হয়ে অন্যের শত্রুতার জেরের স্বীকার হয়ে আজ অসহায় মানবেতর দিন পার করছেন!
গত ৭০ বছর ধরে যেই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছে গত দুই মাস ধরে বাড়ীর পাশের মৃত মনোয়ার আলী মজুমদারের পুত্র সেকান্দার আলী ও জুলফিক্কার শত্রুতা করে রাস্তার মধ্যে গাছ লাগিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলীর পরিবার টিকে রাস্তা বন্দী করে রেখেছে।ঘটনাটি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ৭নং কাজীরবেড় ইউপির ইসলামপুর গ্রামে।মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী বলেন,আমি আমার পরিবার নিয়ে নিজ বাড়িতে দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে বসবাস করে এই এক রাস্তা দিয়েই চলাচল করে আসছি।বর্তমানেও আমার বাড়ি থেকে বের হওয়ার একটি মাত্র রাস্তা।
সেই রাস্তাটি সেকান্দার আলী ও জুলফিক্কার আলী আমার চলাচলের রাস্তায় গাছ লাগিয়ে যাতায়াত প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে।এমতাবস্থায় আমি আমার বাড়ি থেকে বেরহতে বা প্রবেশ করতে অসুবিধায় পড়ছি।আমি উক্ত ব্যাক্তিদ্বয়দের সাথে কথা বলতে গেলে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের উপর তারা মারধর করে এবং বিভিন্ন ভাবে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।বর্তমানে আমি ও আমার পরিবারর সদস্যরা নিরাপত্তাহিনতায় ভূগছি।
এলাকাবাসী বলেন,ওমর আলী দীর্ঘ ৬৫-৭০ বছর ধরে এই বাড়িতে বসবাস করে ও এই একটি রাস্তা দিয়েই চলাচল করে আসছে,কিন্তু বর্তমানে রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় সে পরিবার টিকে নিয়ে চলাচলের অসুবিধায় ভূগছেন।ওমর আলীর আপন ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান রবি তিনিও একই কথা বলেন ও এর সমাধান চাই।স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগন বিষয়টি নিয়ে সামাজিক শালিশে বসে সমাধানের চেষ্টা করলেও সেকান্দার ও জুলফিক্কার তা মানেনি।
মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী বলেন আমি ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের বরাবর চলাচলের রাস্তা জোরপূর্বক দখল করে নেওয়া প্রসঙ্গে একটি আবেদন করেছি।বাংলাদেশ সরকার ও উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে আমার জোরদাবী দ্রুত এই বিষয়টি তদন্ত করে সমাধান দিয়ে আমি ও আমার পরিবার যেন স্বাধীন দেশের পতাকার নিচে বসবাস করে স্বাধীন ভাবে চলাচল করতে পারি।
Comment here