অনলাইন ডেস্ক : কোডিভ-১৯ মহামারিতে অভিবাসীদের প্রতি মালয়েশিয়া সরকারের আচরণ নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি তরুণ রায়হান কবিরকে ১৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে মালয়েশিয়ার পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে ১৪ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ১৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রায়হানের আইনজীবী সুমিতা শান্তিনি কিষনা বলেন, ‘বুধবার রাতে আমরা জানতে পারি রায়হানকে আজ আদালতে হাজির করে আবারও রিমান্ড চাইবে পুলিশ। সে অনুযায়ী আমরা আদালতে হাজির হই। তবে আদালতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।’
তিনি আরও জানান, রায়হান আগের মতোই তার কথাতে অটল রয়েছে। তিনি যা দেখেছেন তাই বলেছেন। তবে মালয়েশিয়ার কাউকে আহত করার উদ্দেশ্যে তিনি এ কথা বলেননি। রায়হানের বিরুদ্ধে এখনো কোনো অভিযোগ আনতে পারেনি পুলিশ।
এর আগে, বুধবার মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক খায়রুল দিজাইমি দাউদের সংবাদ সম্মেলনের বরাত দিয়ে মালয়েশিয়া গেজেট ও দ্য স্টার জানায়, রায়হানের বিষয়ে তদন্ত শেষ করে, তার সব নথি অ্যাটর্নি জেনারেল চেম্বারে (এজিসি) জমা দেওয়া হয়েছে। এজিসি সব কাগজপত্র খতিয়ে দেখার পর রায়হানকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। সে আর মালয়েশিয়া আসতে পারবে না। কারণ তাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।
কবে নাগাদ ফেরত পাঠানো হবে- জানতে চাইলে ইমিগ্রেশন বিভাগের এই মহাপরিচালক জানান, মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশের পরবর্তী ফ্লাইট যাবে ৩১ আগস্ট। সেই ফ্লাইটে তাকে পাঠানো হবে।
তবে মালয়েশিয়ার একাধিক বাংলাদেশি জানিয়েছে, আগামী ৩১ আগস্টের আগেও ঢাকায় কুয়ালালমপুরের একাধিক ফ্লাইট রয়েছে। কিন্তু, এরপরও তাকে দেরি করে পাঠানো হচ্ছে। বিষয়টা আদালতে তুলে ধরেছেন তার আইনজীবীরা।
উল্লেখ্য, রায়হান কবিরের বাড়ি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে। গত ৩ জুলাই আল-জাজিরার ইংরেজি অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ‘লকডআপ ইন মালয়েশিয়ান লকডাউন-১০১ ইস্ট’ শীর্ষক এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন মালয়েশিয়া সরকার বৈষম্যমূলক আচরণ করছে বলে বক্তব্য দেন বাংলাদেশি এই তরুণ। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মালয়েশিয়ার পুলিশ তার বিরুদ্ধে সমন জারি করে। গত ২৪ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Comment here