মির্জা ফখরুল এখনো পুরোপুরি সুস্থ হননি - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
রাজনীতি

মির্জা ফখরুল এখনো পুরোপুরি সুস্থ হননি

দীর্ঘ ছয় মাসের বেশি সময় পর সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রবিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল জানালেন, তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ হননি।

মির্জা ফখরুল দীর্ঘ দিন কারাগারে ছিলেন। কারামুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। সেখান থেকে ফিরে আবার ওমরা করতে সৌদি আরবে যান।

সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান মির্জা ফখরুল। দেশের স্বাস্থ্যসেবার অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গত ৮ মে অনুষ্ঠিত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সভায় সম্প্রতি দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর প্রায় ৭০ শতাংশই ঘটে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক কিংবা ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগে। অথচ এসব রোগ মোকাবেলায় সরকারের অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ মাত্র মোট স্বাস্থ্য বাজেটের ৪ দশমিক ২ শতাংশ। এর আগে গত মার্চ মাসে সিপিডির একটি রিপোর্টেও জনস্বাস্থ্যের এক ভয়ংকর চিত্র ফুটে উঠেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশের প্রায় ১৩ কোটি মানুষ প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে পারছেন না। গত মার্চ মাসেই বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ/বিএফএসএ’র শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, দেশে প্রতি বছর ১ লাখ ১৪ হাজার মানুষ ক্যানসারে মৃত্যুবরণ করছে। এই ক্যানসারের মূল কারণ অনিরাপদ খাদ্য।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সভা মনে করে, নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্র কিংবা রাষ্ট্র্রসংঘ কী ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বা রাখা উচিত, সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশ এমন একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংস্থা র‌্যাপিড অ্যালার্ট সিস্টেম ফর ফুড অ্যান্ড ফিড/আর-এস-এফ-এফ, গত এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলেছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রপ্তানি করা ৫২৭টি ভারতীয় পণ্যে ক্যানসার উপযোগী উপাদান পেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর আরএএসএফএফ জানিয়েছে, ৫২৭টি পণ্যের মধ্যে ৩৩২টি খাবার পণ্যের উৎস ভারতে। বাকি পণ্যগুলো সরাসরি ভারতের না হলেও সেগুলোতে ভারতের ট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে। এসব ভোগ্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে, বাদাম, তিল বীজ, ভেষজ, মশলা, ডায়েবেটিক জাতীয় খাবার। এ সকল পণ্যের মধ্যে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান ইতিলিন অক্সাইড শনাক্ত করা হয়েছে। এই রাসায়নিক উপাদান মানবদেহে প্রবেশ করলে ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি লিম্ফোমা এবং লিুকেমিয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। এই রিপোর্ট প্রকাশের পর ভারতের ৮৭টি পণ্যের চালান ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’

Comment here