সারাদেশ

মেয়েকে হত্যার পর অন্তঃসত্ত্বা মায়ের ‘আত্মহত্যা’

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের শার্শা উপজেলায় চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে নিজের চার বছরের কন্যা শিশুকে গলা টিপে হত্যার পর জুলেখা বেগম নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী আত্মহত্যা করেছেন।

আজ রোববার সকালে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে ওই নারী আত্মহত্যা করেন। তার আগে মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করেন তিনি।

পুলিশ লাশ উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন, স্থানীয় দোকানদার আলাউদ্দীনের মেয়ে জুলি ও জুলির মা রেসমা বেগম।

নিহতের স্বজনরা জানান, প্রায় ছয় মাস আগে প্রতিবেশী আলাউদ্দীনের বাড়ি থেকে একটি স্বর্ণের চেন চুরি হয়। গতকাল শনিবার দুপুরে নিহত জুলেখা বেগম আলাউদ্দীনের দোকানে কেনাকাটা করতে যান। এ সময় আলাউদ্দীনের মেয়ে জুলি জুলেখার গলা থাকা চেনটি তাদের হারিয়ে যাওয়া সেই চেন বলে দাবি করেন। তারপর জোর করে জুলেখার গলার চেন খুলে নিয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে মারধর করেন।

কিন্তু চেনটি জুলেখাকে তার মা দিয়েছিল। এ মিথ্যা অপবাদ সহ্য করতে না পেরে বাড়ি ফিরে পরের দিন রোববার সকালে নিজের মেয়েকে গলা টিপে হত্যার পর ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।

নিহতের এক স্বজন বলেন, ‘কোনো প্রমাণ ছাড়া এভাবে জোর করে গলা থেকে চেন ছিনিয়ে নেওয়া ঠিক হয়নি। বিষয়টি নিয়ে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিস করলে এভাবে তিনটি প্রাণ ঝরে যেত না।’

নাভারন সার্কেল পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জুয়েল ইমরান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘যাদের কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তাদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত দুই জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’

Comment here

Facebook Share