গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টুকে ধমক দিয়েছেন দলটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘কোনো কিছু বলব না আমি। যা বলেছি এইটুকুই বলব। আমি কিছুই বলব না। আমাকে আপনারা কানে কানে কেন কিছু বলার চেষ্টা করছেন।’
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘোষণা কর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেওয়ার এক পর্যায়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে এভাবে কথা বলতে দেখা যায় তাকে।
সভাপতি হিসেবে ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যের আট মিনিটের মাথায় দেখা যায়, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু ড. কামালের কাছে এসে তার কানে কিছু কথা বলেন। এ সময় তিনি মন্টুকে ধমক দিয়ে বলেন, ‘কোন কিছু বলব না আমি। যা বলেছি এইটুকুই বলবো। আমি কিছুই বলব না। আমাকে আপনারা কানে কানে কেন কিছু বলার চেষ্টা করছেন।’ আর আমি তো সকল বক্তার বক্তব্যেকে সমর্থন জানিয়েছি। তবে মন্টু ড. কামাল হোসেনের কানে কী কথা বলেছেন তা শোনা যায়নি।
এর আগে বক্তব্যের পাঁচ মিনিটের দিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলার জন্য ড. কামাল হোসেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। ওই সময় দর্শক সারি থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে উঠেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া- লও লও লও সালাম।’ স্লোগানের সময় কামাল হোসেন বক্তব্য থামিয়ে মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় দর্শক সারির প্রথম লাইন থেকে বলা হয়, ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, এ কথা বলতে হবে।’ এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই নেতাকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দেন। তবে এরপরও কয়েক সেকেন্ড স্লোগান চলে।
সভায় কামাল হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। জাদুঘরে গিয়ে দেখেন- বঙ্গবন্ধু যে জাতির পিতা, উনার নেতৃত্বে যে স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং দেশ স্বাধীন হয়েছিল সেই মর্যাদা নিয়ে উনি এখনো আছেন এবং থাকবেন। উনাকে নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে না।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।
Comment here