ডা. এম ইয়াছিন আলী,জনস্বাস্থ্য বিষয়ক লেখক : বিশ্বজুড়ে মহামারীর রূপ পাওয়া নভেল করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে আতঙ্ক, সেই সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে অসংখ্য গুজব। কোভিড-১৯-এর শুরুর দিকের লক্ষণগুলো হলো জ্বর, ক্লান্তি ভাব, শুষ্ক কাশি, শরীর ব্যথা, নাক বন্ধ, নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা ইত্যাদি; পাতলা পায়খানাও হতে দেখা যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এসব লক্ষণের তীব্রতা বাড়ে এবং মৃদু থেকে তীব্র শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তাই আসুন জেনে নিই দিন অনুযায়ী লক্ষণ।
প্রথম থেকে তৃতীয় দিন : সাধারণ সর্দি-কাশি, হালকা গলাব্যথা, তেমন কোনো জ্বর নেই। আপেক্ষিকভাবে সুস্থ এবং খাওয়া-দাওয়া করতে সমস্যা হবে না।
চতুর্থ দিন : গলাব্যথা প্রথম ৩ দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি। মাথা ঘোরা ও কিছুটা ভারসাম্যহীন অনুভব করা। কথা বলতে কষ্ট হওয়া, শরীরের তাপমাত্রা ৯৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকবে। খাওয়া-দাওয়া করতে সমস্যা হওয়া। হালকা মাথাব্যথা, অনেক সময় ডায়রিয়ার মতো হওয়া।
পঞ্চম দিন : গলাব্যথা আগের চেয়ে বেশি, কথা বললে গলায় বেশি ব্যথা করা। দেহের তাপমাত্রা ৯৮.১ ডিগ্রি সে.-৯৮.৪ ডিগ্রি সে. এর কাছাকাছি। শারীরিক দুর্বলতা ও জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা।
ষষ্ঠ দিন : জ্বরের তীব্রতা ক্রমে বেড়ে ৯৮ক্ক এর আশপাশে থাকা।
শুকনো কাশি শুরু হওয়া। কথা বলার সময় বা ঢোক গিলতে গেলে ব্যথা করা।
অস্বাভাবিক দুর্বলতা, বমি বমি ভাব, মাঝে মধ্যে শ্বাসকষ্ট হওয়া।
হাতের আঙুলগুলোয় ব্যথা শুরু হওয়া। বমি, ডায়রিয়া।
সপ্তম দিন : উচ্চমাত্রায় জ্বর (৯৯.৩ ডিগ্রি সে. – ১০০ ডিগ্রি সে.), কফসহ কাশি, মাথা ও শরীর ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়া বৃদ্ধি পাওয়া।
অষ্টম দিন : জ্বরের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ১০০.৪ ডিগ্রি সে. এর ওপরে চলে যায়। শ্বাসকষ্ট এবং প্রতিবার শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার সময় বুক ভার ভার লাগে। বিরতিহীন কাশি। মাথা ব্যথা, জয়েন্ট ব্যথা এবং কোমরের মাংস ব্যথা।
নবম দিন : আগের সব উপসর্গ থাকবে তবে সেগুলো মারাত্মক আকার ধারণ করা, যেমনÑ জ্বরের অবস্থা আরও অবনতি, শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা।
এগুলোর যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ওঊউঈজ এর ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করতে হবে।
লেখক : কনসালট্যান্ট ও বিভাগীয় প্রধান
প্রো-অ্যাকটিভ মেডিক্যাল কলেজ
ও হাসপাতাল, ঢাকা
চিফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ধানমন্ডি, ঢাকা। ০১৭৮৭১০৬৭০২
Comment here