যেমন হতে পারে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারা দেশে গত ৫ এপ্রিল থেকে চলাচল ও কাজে কঠোর নিষেধাজ্ঞা চলছে। এই বিধি-নিষেধ বহাল থাকবে ১১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত। এই নিষেধাজ্ঞাকে সরকার লকডাউন বললেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া প্রায় সব কিছুই খোলা রাখা হয়েছে। এই অবস্থায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এক সপ্তাহের ‘সর্বাত্মক’ লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া আর কোনো কিছুই চলবে না।

এর আগে আজ শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও  সড়ক পরিবহন ও সেতামন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়ে সক্রিয় চিন্তাভাবনা করছে সরকার।

তবে বর্তমানে চলমান ‘লকডাউন’ আর ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ মধ্যে পার্থক্য কী হবে? এমন প্রশ্নে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ বলতে যে চিন্তাটি করা হয়েছে সেটা হলো শুধু জরুরি সেবা ছাড়া আর কোনো কিছুই চলবে না। এখন যেমন কিছু কিছু বিষয়ে নমনীয়তা দেখানো হচ্ছে, সেটি হয়তো তখন আর করা হবে না। দেশের জনস্বাস্থ্যবিদেরাও এই পরামর্শ দিয়েছেন।’

বর্তমানে যে ‘লকডাউন’ চলছে সেখানে সব ধরনের গণপরিবহন চলছে। বাজার, শপিংমল খোলা হয়েছে। অফিস–আদালত, ব্যাংক, বিমা সবকিছুই খোলা। বেসরকারি খাতের সবকিছুই খোলা। খোলা রয়েছে শিল্পকলকারখানা।

তবে ওষুধের দোকান, নিত্যপণ্যের দোকান জরুরি সেবার মধ্যেই পড়ে। তাই এগুলো সর্বাত্মক লকডাউনেও খোলা রাখা হবে। তবে নিত্যপণ্যের দোকান খোলা রাখার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হতে পারে। আর সরকারের অন্যান্য জরুরি সেবা হলো বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, স্বাস্থ্য, ত্রাণ বিতরণ, স্থলবন্দর, ইন্টারনেট, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আনা–নেওয়া ও এর সঙ্গে জড়িত অফিসগুলো।