মোঃ মাসুম রেজা(পলাশ) রাজশাহী জেলা প্রতিনিধিঃ পহেলা মার্চ দীর্ঘ ৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন।এ সম্মেলন কে ঘিরে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে নগর আওয়ামীলীগের রাজনীতি।
কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পদপ্রত্যাশীরা নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাংগঠনিক যোগাযোগ যেমন বাড়িয়েছেন, তেমনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়ে উঠেছেন সক্রিয়। পদপ্রত্যাশীদের পোস্টার-ব্যানারে নগরে সড়কের মোড়গুলো রঙিন হয়ে উঠেছে। প্রচার চালানো হচ্ছে সব ধরনের যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে।
কাউন্সিল ঘিরে শুরু হয়েছে নেতাকর্মীদের মাঝে নানা মেরুকরণও।
কার সঙ্গে কে থাকবেন, কে প্রার্থী হলে কারা সমর্থন দেবেন-হিসাব-নিকাশ চলছে। তবে শীর্ষ দুই পদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়েই সমীকরণটা জটিল। বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে ছোটাছুটি করছেন হাফ ডজন খানেক নেতা।
সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের বিকল্প দেখছে না নেতাকর্মীরা।
জটিল সমীকরণ চলছে সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার পদটি ধরে রাখতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন।এ ছাড়াও শক্তিশালী প্রার্থী সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা ও নওশের আলী,যুগ্ম সম্পাদক নাইমুল হুদা রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু ও মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী শীর্ষ এই পদ পেতে ব্যাপক তৎপর রয়েছেন। চালাচ্ছেন ব্যাপক প্রচারণা।
মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বাদশা এর আগে মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ও এবার সাধারণ সম্পাদক পদটি পেতে ইতিমধ্যে দৌড়-ঝাপ শুরু করেছেন।
সহ-সভাপতি নওশের আলী ও যোগাযোগ বাড়িয়েছেন নেতা কর্মীদের সাথে।শুরু করেছেন লবিং গ্রুপিং।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাঈমুল হুদা রানা ,বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদে থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দলের জন্য এখনো সরব রয়েছেনে।তিনিও এবার সাধারণ সম্পাদক পদটি পেতে চান।
সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু ও সাধারন সম্পাদক পদটি পেতে ছোটাছুটি করছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান বাবুও এ পদটি পাওয়ার জন্য চালাছেন জোর প্রচারণা। এছাড়াও এ পদটি পাওয়ার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালাছেন সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী নগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী। দীর্ঘ ৩৯ বছরের বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবন তার। রমজান আলী ১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে।তিনি১৯৮৫ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০৪ সালে প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন ২০০৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এর পর ২০১৬ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন। এখন পর্যন্ত মহানগর যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। সাংগাঠনিক কার্যক্রমেও দক্ষ রমজান আলী। তার নেতৃত্বে নগরীর সাংগাঠনিক ৩৭ ওয়ার্ডেই রয়েছে শক্তিশালী পুর্ণাঙ্গ কমিটি, গত ১৬ বছর মহানগর যুবলীগের সভাপতি থাকাকালীন কোন গ্রুপিং ছাড়াই মহানগর যুবলীগকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, ইস্পাত কঠিন ঐক্যের প্রতিক হিসাবে ধরা হয় মহানগর যুবলীগ কে ফলে রমজান আলী একজন শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে দেখছেন তৃণমূল নেতা কর্মী। সংগঠন কে শক্তিশালী করতে নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের বিবেচনায় উন্নতম মহানগরের নির্বাহী নেতা হিসাবে গন্য করছে।
Comment here