স্টাফ রিপোর্টার : নরসিংদী রায়পুরায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুটি বসতবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও বাড়িতে নারীসহ স্কুল ছাত্রীর বইপত্র আগুনে পুড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বসতঘরের সকল মালামাল ভাংচুর ও মারপিট করে ক্ষান্ত হয়নি, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর নোট বই, গাইড, আসবাবপত্র লুটসহ পাকঘরের চুলা ভেঙে গুঁড়িয়ে ফেলেছে প্রতিপক্ষরা। লুটপাট ও ভাঙচুর করে ওই বাড়ি থেকে ১ টি ছাগল, নগদ ২ লাখ টাকা, পাসপোর্ট, ঘরের দলিলপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষার্থীর বই খাতাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যান হামলাকারীরা।
শনিবার ( ২৯ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে প্রকাশ্যে এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলা আদিয়াবাদ ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামের মনির হোসেন বাড়িতে। সারাদিন ব্যাপি প্রতিপক্ষের ভয়ে এলাকার পাশের বাড়িতে অবস্থান করছেন তারা। রান্না ঘরে রান্না করার মতও ব্যবস্থা নেই। অনহারে চলছে মনির হোসেন এর পরিবারের দিনকাল।
ভোক্তভোগী মনির হোসেনের স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধে জেরে সকাল ৮টার দিকে আমার স্বামীর জায়গা থেকে পাঁচটি লেবুর চারা প্রকাশ্যে কেটে বাড়িতে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে আমি প্রতিবাদ করলে প্রতিপক্ষ রেজেক মিয়া(৪৫) আমার চুলের মুঠি ধরে টেনে হিচরে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি দিয়ে আমাকে আঘাত করেন। তাতেও শান্ত না হয়ে তারেক মিয়া(২৫) ও রাজু মিয়া (২৭) এর নেতৃত্বে শাহরাজ মিয়া, নজরুল ইসলাম, সাহারাজ মিয়া, হুনুফা, লাকি বেগমসহ ১৫- ২০ জন হামলাকারীরা দা, ছুরি, চাপাতি, শাবল, লোহার পাইপ ইত্যাদি দিয়ে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরবাড়ি লুটপাট, ভাংচুর, ১টি ছাগল, নগদ অর্থসহ আমার মেয়ে স্কুল পুড়ুয়ার বইপত্র কাপড়চোপড় ইত্যাদি লুটপাট করে নিয়ে যান। এবং আমার স্বামী ও দেবর প্রাণ ভয়ে পাশের বাড়িতে পালিয়ে যায়।
স্কুল শিক্ষার্থী মনিকা আক্তার বলেন, আমাদের বাড়িতে হামলা করে তারা সবকিছু ভাংচোর ও লুটপাট করে নিয়ে যান। পরবর্তীতে আমি প্রাইভেট থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষরা রাস্তার অবরোধ করে আমাকে গালিগালাজ, স্কুলে পরতে দিবেনা এবং আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন। সাথে আমার সকল বইপত্র, কাপড়চোড় সবকিছু নিয়ে গেছে যেনো আমি লেখাপড়া না করতে পারি।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, জমিজমা নিয়ে বিরোধে প্রায় সময় মনির হোসেনের পারিবারকে বর্বর অনাচার অত্যাচার করে আসছেন। তাদের বিষয়ে কেউ কিছু বললে তাদেরকে মামলা দিয়ে থাকেন। এলাকার ইউপি সদস্য ন্যায্য বিচার করার জন্য তাকেও মামলা দেন হামলাকারীরা। তাই আমরা এলাকাবাসী ভয়ে কিছু বলিনা। তবে রেজেকের বাড়িতে ১৫/২০ জন পুরুষ আর মনির হোসেন ও তার ছোট ভাই শুধু থাকায়। তারা কিছু দিন পর পর অনাচার অত্যাচার করতে পারেন বলে জানান এলাকাবাসী।
২য় পক্ষ রেজেক মিয়া বলেন, মনির হোসেনের বাড়ি থেকে কোন প্রকার লোটপাট করেননি বলে জানান।
এ বিষয়ে রায়পুরা থানার এএসআই মঞ্জুরুল আলম বলেন, এ বিষয়ে রায়পুরা থানায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। :
Comment here