নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন আজ বৃহস্পতিবার। নিজ দলের প্রার্থীর প্রচারণায় নেমে আওয়ামী লীগের একদল কর্মীর হামলায় আহত হয়েছেন সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ বিকেলে তেজগাঁও বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় বিএনপি সমর্থিত ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরপ্রার্থী আজিজুর রহমান মোছাব্বির, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোর্শেদ আলমসহ ছয় জন আহত হন।
বিকেলে তেজগাঁও বাসস্ট্যান্ড থেকে রিজভীর নেতৃত্বে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে ভোট চেয়ে মিছিল শুরু করে বিএনপি। এ সময় আওয়ামী লীগের একদল কর্মী লাঠি-সোটা নিয়ে মিছিলে হামলা করে। এ হামলায় ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে বিএনপির লোকজন। এ সময় রিজভীকে মারধর করে তারা। এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দেওয়ায় পায়ে ও হাতে আঘাত পান রিজভী। এ সময় তিনি মাটিতে পড়ে যান এবং হাত-পা থেকে রক্ত ঝরে।
হামলাকরীরা সরে গেলে বিএনপির কর্মীরা রিজভীকে নিয়ে কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করে। ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে অর্থোপেডিক চিকিৎসক ইকবাল হাসান চৌধুরীর তত্ত্বাবধায়নে রিজভীর চিকিৎসা চলছে। আর আহত অন্যদের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছোট মিছিল নিয়ে রিজভীর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ধানের শীষে ভোট ও খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগান দিচ্ছিল। এ সময় আওয়ামী লীগের একটি দল মিছিল নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। দুই পক্ষ মুখোমুখি হওয়ায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা হামলা করে।
আহত রুহুল কবির রিজভী আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমরা নির্বাচনী প্রচারণায় ধানের শীষের পক্ষে ভোট এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি চেয়ে কর্মীদের মিছিল করছিলাম। এ সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলার মুখে রাস্তায় পড়ে যাই। পায়ে ও হাতে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছি। পরে কী হয়েছে কিছুই বুঝতে পারছি না।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘এই হামলা প্রমাণ করে, সরকার নিলর্জ্জভাবে নির্বাচনকে একদলীয় করার সব আয়োজন করে ফেলেছে। প্রচারণার শেষ দিনে বিএনপির মিছিলের ওপরে এই ন্যাক্কারজনক হামলা আমি নিন্দা জানাচ্ছি।’
জানা গেছে, হাসপাতালে ভর্তির পরপরই রিজভকে দেখতে যান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্মমহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।
Comment here