শিক্ষকের হাতে একাধিকবার ‘ধর্ষণের’ শিকার প্রতিবন্ধী যুবতী - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

শিক্ষকের হাতে একাধিকবার ‘ধর্ষণের’ শিকার প্রতিবন্ধী যুবতী

মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি : শিক্ষকর হাতে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক প্রতিবন্ধী যুবতী (২৫)। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম সৈলেন মজুমদার। তিনি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ইন্দুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা জেলার দাঊদকান্দি উপজেলায়। গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার সময় ধর্ষণের সময় ধরা পরার পর থেকে পলাতক রয়েছেন ওই শিক্ষক।

ভুক্তভোগী ওই যুবতী বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে আমাকে সৈলেন ঘর থেকে ডেকে নিয়ে জোড় করে শারীরিক নির্যাতন করেছে। চিৎকার দিলে মারবে বলে হুমকি দেয়। একইভাবে এর আগে তিনবার আমাকে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনা প্রকাশ করলে মারবে বলেছে। তাই কাউকে বলতে সাহস পাইনি। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।’

ওই যুবতী আরও জানান, তার মা ও দুই ভাই বাড়িতে বসবাস করলেও ঘটনার দিন তারা বাড়িতে ছিলেন না।

ওই গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা দৈনিক মুক্ত আওয়াজকে বলেন, ‘শুক্রবার রাতে পূজা চলাকালীন সময়ে প্রতিবন্ধী সবিতা রানীকে ঘর থেকে ডেকে এনে তাদের টয়লেটের পাশে নির্জন জায়গা নিয়ে ধর্ষণ করে। প্রথমে সজল তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে আমাদেরকে ডাক দেয়। ওখানে দিয়ে তাদের দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখি।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ রানা বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমি এসে পুরো ঘটনাটি অবগত হই। প্রতিবন্ধী মেয়েটির বক্তব্য অনুযায়ী তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। একে একে চারবার এই প্রতিবন্ধী মেয়েটির ওপর নির্যাতন চালিয়েছে সে। এটি একটি ঘৃণিত ব্যাপার। তবে ধর্ষণের ঘটনাগুলো আইনগত ব্যাপার তাই চাইলে আমরা সমাধান করতে পারি না।’ এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও তিনি জানান।

এদিকে ওই শিক্ষক সৈলেনের সঙ্গে কথা বলার জন্য গতকাল শনিবার তার বাড়িতে গেলেও দেখা পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী জানান, তিনি এ ঘটনার পর থেকে বাড়িতে আসেন না। তবে তার মা শোভা রানী বলেন, ‘আমার ছেলে এ ঘটনার সাথে জড়িত নেই। আমার ছেলে রাত ১ টার সময় ঘরে এসে ঘুমিয়েছে।’

দাঊদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে আমি অবগত নই, এখন জানলাম। তবে ভিকটিম বা তার পক্ষে কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Comment here