শূন্য রানেই নেই ৩ উইকেট, সোহানের ব্যাটে শেষ রক্ষা - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ক্রিকেট

শূন্য রানেই নেই ৩ উইকেট, সোহানের ব্যাটে শেষ রক্ষা

ক্রীড়া প্রতিবেদক:বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের দ্বিতীয় ম্যাচেও হানা দিয়েছিল বেরসিক বৃষ্টি। প্রায় ১০৪ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর মাঠে গড়ায় বল। বৃষ্টিতে খেলা থেমে থাকার করণে ম্যাচ তিন ওভার করে কমে হয়েছে ৪৭ ওভারে। কিন্তু ২৪ ওভারই পুরো শেষ করতে পারেনি তামিমের দল। বিব্রতকর ব্যাটিংয়ের বদৌলতে প্রথম ম্যাচেই হারের মুখ দেখতে হয় তামিমকে।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় মাহমুদউল্লাহ একাদশ ও তামিম একাদশ। আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় শুরু হওয়া এই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নেন মাহমুদউল্লাহ। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৩ ওভার ১ বল ব্যাটিং করে মাত্র ১০৩ রান করে তামিম একাদশ। এই স্বল্প রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শূন্য রানেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেন মাহমুদউল্লাহরা। শেষ পর্যন্ত মুমিনুল-সোহানের দৃঢ়তায় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মাহমুদউল্লাহ একাদশ।

সর্বোচ্চ ৪১ রান করে অপরাজিত ছিলেন নুরুল হাসান সোহান। তিনিই মূলত শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে দলকে পাঁচ উইকেটে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। এ ছাড়া মুমিনুল হক করেন ৩৯ রান। মাহমুদউল্লাহদের এটি দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম জয়। এদিকে তামিমরা হারেন প্রথম ম্যাচেই। তামিম একাদশের হয়ে সাইফউদ্দিন এবং তাইজুল ইসলাম নেন সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট। মোস্তাফিজ নেন একটি উইকেট

এর আগে ম্যাচ শুরুর দ্বিতীয় ওভারেই আক্রমণে রুবেলকে নিয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ। নিজের প্রথম ওভারেই বাজিমাত করেন এই ডানহাতি পেসার। দুর্দান্ত এক ইনসুইংয়ে মাত্র ২ রানেই তামিমকে ফেরান রুবেল। বৃষ্টি শুরুর আগেই রুবেলের দুর্দান্ত এই বল বুঝতে না পেরে এলবিডব্লিউর শিকার হন তিন।  বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলে আবারও আঘাত হানেন রুবেল। একই ওভারে তুলে নেন তানজিদ হাসান তামিম ও মোহাম্মদ মিথুনের উইকেট। তানজিদ হাসান মাত্র ১৮ বলে ২৭ রান করেন। তবে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরতে হয় মোহাম্মদ মিথুনকে।

রুবেলের আক্রমণের রেশ না কাটতেই সুমন খানের বোলিংয়ে আরও তিনটি উইকেট হারান তামিমরা। শাহাদাত হোসেন দিপু, মোসাদ্দেক হোসেনসহ সুমন খান তুলে নেন ক্রিজে থিতু হওয়া এনামুল হক বিজয়ের উইকেট। বিজয় ৩৩ বলে ২৭ রান করেন। দিপু ১ ও মোসাদ্দেক করেন ৫ রান। একদিকে বেরসিক বৃষ্টির বাঁধা অন্যদিকে রুবেল হোসেন-সুমন খানের আগুনঝরা বোলিংয়ে রানই করতে পারছিলেন না তামিমরা।

শেষ পর্যন্ত মাহাদী হাসানের ১৯ ও সাইফউদ্দিনের ১২ রানের সুবাদে ১০৩ রান করেন তামিমরা। রুবেল পাঁচ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট। অন্যদিকে সুমন খান পাঁচ ওভারে ৩১ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।

Comment here