আদালত প্রতিবেদক ; সকাল ১০টার মধ্যে নিম্ন আদালতের বিচারকদের এজলাসে উঠে বিচার কার্যক্রম শুরু করতে হবে। তাহলেই মামলাজট ও বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমে আসবে। আজ শনিবার পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স আলোচনা অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গীকার। এই অঙ্গীকার পূরণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে এবং আইনের বিধান অনুসরণ করে কাজ করতে হবে। প্রধান বিচারপতির দেওয়া নির্দেশনা সমন্বয় করে বিচারকার্য পরিচালনা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকার দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ বলেন, মানি লন্ডারিং আইন, দুদক আইন ও মাদক আইনের মামলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে তদন্তকারী সংস্থাগুলো সমন্বয় করে তদন্ত করতে হবে।
সভাপতিত্বের বক্তব্যে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, মামলার তদন্ত প্রতিবেদন মামলার ভিত্তি রচনা করে দেয়। তদন্তের ক্ষেত্রে যে ধরনের অনিয়ম হয়ে থাকে সেগুলোর বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে হবে। তদন্তে তদারকিদের এ বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে হবে।
উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল, সাক্ষীর উপস্থিতি বাড়ানো, আলামত হাজির করা, আলামত নিষ্পত্তি ইত্যাদি করতে হবে। পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী, চোর, ছিনতাইকারীসহ অন্য পেশাদার অপরাধীদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। এ ধরনের মামলা আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে বিচার নিষ্পত্তি করে দেব।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডি এমপির বিভিন্ন থানার ২৫ জন ওসি, বিভিন্ন জোনের ডিসি, পিবি আই, র্যাব, দুদক কর্মকর্তা, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজুর রহমান মন্টু প্রমুখ।
Comment here