সপ্তাহ পার হলেও গ্রেপ্তায় হয়নি সেই কয়েদি - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

সপ্তাহ পার হলেও গ্রেপ্তায় হয়নি সেই কয়েদি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাত দিন পার হয়ে যাচ্ছে, তবুও গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে পালিয়ে যাওয়া কয়েদিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ ও জেল কর্তৃপক্ষ। এদিকে ঘটনা চাউর হওয়ার পর কারাগারে দায়িত্বে অবহেলার কারণে ইতিমধ্যে ১২ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে ছয়জনের বিরুদ্ধে।

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘কয়েদি আবু বকর সিদ্দিককে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে অভিযান অব্যাহত আছে।’

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানার ওসি এমদাদুল হোসেন কারা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলেন, কারাগার থেকে কয়েদি পালিয়ে যাওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষ ১২ জনকে সাময়িক বরখাস্ত ও ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলা করেছে। তাদের মধ্যে প্রধান কারারক্ষীও আছেন।

পালিয়ে যাওয়া কয়েদি আবু বকর সিদ্দিককে ২০১১ সালে হত্যা মামলার ফাঁসির আসামি হিসেবে এ কারাগারে আনা হয়। এর আগে তিনি ছিলেন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে। ২০১২ সালের ২৭ জুলাই তার সাজা সংশোধন করে তাকে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়।

জানা গেছে, আবু বকরের বাবার নাম তেছের আলী গাইন। তারা সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আবাদ চণ্ডীপুর এলাকার বাসিন্দা।

এর আগেও পালানোর চেষ্টা করেন ওই কয়েদি
২০১৫ সালের ১৩ মে পালানোর চেষ্টা করেন কয়েদি আবু বকর সিদ্দিক। ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি আত্মগোপন করে সেল এলাকায় সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন। পরে তাকে কারাগারের ৪০ সেল এলাকার ট্যাংকের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনার পর থেকে তাকে শেকল পরিয়ে রাখা হতো। এ সময় তিনি কিছুটা মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তাকে শেকলমুক্ত করার পর কারা চত্বরে অন্যান্য বন্দীদের সঙ্গে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

গত ৬ আগস্ট অন্যান্য বন্দীদের সঙ্গে দেখা যায় আবু বকরকে। পরদিন বন্দীদের গণনার সময় তাকে খুঁজে পায়নি কারারক্ষীরা। গত শুক্রবার বিকেলে কোনাবাড়ী থানায় এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়।

কাশিমপুর কারাগার-২-এর জ্যেষ্ঠ সুপার জাহানারা বেগম জানান, ওই কয়েদি জেলের ১৮ ফুট দেয়াল বেয়ে চলে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাকে খুঁজতে সাতক্ষীয়ায় তার বাড়িতে লোক গেছে। সেখানকার পুলিশকেও এ তথ্য জানানো হয়েছে।

Comment here