নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থান বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা যেখানে প্রয়োজনে কারফিউ জারির পরামর্শ দিচ্ছেন, সেখানে সরকারের সবকিছু চালুর ঘোষণা আত্মহননের শামিল বলে মন্তব্য করেছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
আজ শুক্রবার সংগঠনের সভাপতি ডা. অধ্যাপক হারুন আল রশিদ এবং মহাসচিব ডা. আব্দুস সালাম এক যৌথ বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন।
তারা সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘ, দেশি ও বিদেশি কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্টতা গবেষণা কর্মী এবং বিশ্লেষকগণ বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণপূর্বক কঠোর লকডাউন তথা প্রয়োজনে কারফিউ জারির পরামর্শ দিচ্ছেন, তখন সরকার সবকিছু চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন, যা আত্মহননের শামিল।
তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, সরকারের এই হঠকারী ও অবিমৃষ্যকারী সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে।
সীমিত সম্পদ ও ভঙুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে সমাগত ভয়াবহতা মোকাবিলা করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তারা। আরও বলেন, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) নেতৃবৃন্দ দেশ ও মানুষ বাঁচাতে অনতিবিলম্বে সরকারের এই সিদ্ধান্ত পূর্নবিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছে। নতুবা উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিশ্ব মহামারি করোনার করাল থাবা বাংলাদেশকে আক্রমণ করার পর থেকেই পেশাজীবী সংগঠন হিসেবে ড্যাব সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রতিটি পদক্ষেপে সচেতন করার চেষ্টা করেছে। সংগঠনটি গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারকে সঠিক পথে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সমন্বয়হীনতার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ধারাবাহিক ব্যর্থতা প্রদর্শন করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কার্যত সারা দেশে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। অথচ প্রতিদিন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রেকর্ডসংখ্যক রোগী সনাক্ত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে। ড্যাব সরকারের এই প্রজ্ঞাপন জারির পরিপ্রেক্ষিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।
Comment here