নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার উন্নয়নের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ইউএনডিপির প্রকাশিত মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনের বিষয়ে আজ মঙ্গলবার দলের স্বাধীনতা সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী-২০১২ উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ১৫টি বিষয়ভিত্তিক কমিটি ও ১০টি বিভাগীয় কমিটির নাম ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সালামও উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে বলা হচ্ছে যে, এই সরকার তারা যথেষ্ঠ উন্নয়ন করেছে, তারা নিজেরাই নিজেদের কথা বলছে এবং তারা নিজেদেরকে একটা উন্নয়নের রোল মডেল বলছে। আজকের পত্রিকায় আছে যে, ইউএনডিপি গতকাল যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গোটা এশিয়াতে কী অবস্থান, কোন কোন দেশের কী অবস্থায় আছে। তাতে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়াতে পঞ্চম। ভুটানেরও নিচে। এখানেই বুঝা যায় যে, আসলে আমাদের উন্নয়নে কথা যেটা বলা হচ্ছে এটা আসলেই একটা পুরোপুরিভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। তার উদ্দেশ্য হচ্ছে তারা ক্ষমতায় জোর করে টিকে থাকতে চায়।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে সমস্ত ক্ষেত্রেই সরকার স্বাধীনতার সমস্ত চেতনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে দলীয়করণ করে নষ্ট করেছে, তারা অর্থনীতিকে আজকে একটা লুটপাটের অর্থনীতিতে পরিণত করেছে। তারা পার্লামেনন্টকে পুরোপুরি একটা অকেজো পার্লামেন্ট তৈরি করেছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিয়েছে, যার ফলোশ্রুতিতে আপনারা দেখেছেন যে, বিশিষ্ট নাগরিকরা তারাই তাদের বক্তব্য রাখছেন, বলছেন যে, এই নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন করতে সম্ভব হবে না।‘
দলের পক্ষ থেকে নেওয়া স্বাধীনতার সূর্বণ জয়ন্তী পালনের গুরুত্ব তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী পালন করতে যাচ্ছি। আমাদের সামনে একটাই লক্ষ্য যে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা যে মূল চেতনাটিকে সংগ্রাম করছি, লড়াই করছি, যুদ্ধ করেছি, প্রাণ দিয়েছি। আমাদের লক্ষ লক্ষ মানুষ তারা শহীদ হয়েছেন, মা-বোনেরা তারা সম্ভ্রম হারিয়েছেন। অনেক মূল দিতে হয়েছে আমাদের। সেই গণতান্ত্রিক চেতনাকে আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসা এবং গণতন্ত্রের জন্য যারা সেদিন লড়াই করেছিলেন, যুদ্ধ করেছিলেন তাদের সেই মর্যাদাটাকে পুণঃপ্রতিষ্ঠিত করা।‘
Comment here