নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সরকার ‘বিশেষ বিশেষ শক্তিতে বলীয়ান হয়ে’ দেশে এক ব্যক্তির শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার সকালে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগের সরকার, তারা গণতন্ত্রের বিশ্বাস করেই না। শুধুমাত্র জনগণকে বোকা বানানোর জন্য তারা গণতন্ত্রের মুখোশ পরে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা, প্রকৃতপক্ষে একব্যক্তির শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে। আমরা অনেক বলেছি, আমরা এই মানববন্ধন, মিছিল, হরতাল বহুত কিছু করেছি। আমরা এখন পর্যন্ত এই সরকারের টনক নড়াতে পারিনি। কারণ তারা বিশেষ বিশেষ শক্তিতে বলীয়ান হয়ে আছে।’
সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক হয়েছে। এভাবে আর চলতে পারে না। আমরা পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই- অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, অবিলম্বে জনগণের চোখের ভাষা পড়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় জনগণের উত্তাল ঢেউ সৃষ্টি হবে, সেই ঢেউয়ে আপনারা সবাই ভেসে যাবেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ভিন্নমতকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য তারা (সরকার) আজকে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ এবং সাধারণ মানুষ যারা ভিন্নমত পোষণ করে লেখালেখি করেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো কথা বলেন তখনই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। যে মামলাতে সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী সাহেবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে- একটা মিথ্যা অপবাদ, একটা অপব্যাখ্যা এবং সেই সঙ্গে আইনের একটা অপব্যাখ্যা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে বিনা জামিনে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। ’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন ও সরকার যৌথভাবে এই নির্বাচনকে তাদের একটা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে ক্ষমতায় টিকে থাকবার জন্যে। তারা নির্বাচন নির্বাচন খেলা করছে। নির্বাচনের নামে তারা আজকে ত্রাস সৃষ্টি করেছে। একটা প্রমাণ আমি দিচ্ছি। ঢাকা-১৮, উত্তরাতে যে উপনর্বিাচন হচ্ছে সেই নির্বাচনে আমাদের দলের একজন নেতা মোস্তফা যিনি কমিশনার প্রার্থী হয়েছিলেন। গত রাতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা তার বাড়িতে আক্রমণ করে ভাঙচুর করেছে। গতকাল সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনে আমাদের প্রার্থী রেজা সাহেবকে (সেলিম রেজা) সারাদিন ঘরের মধ্যে আটক করে রাখা হয়েছিল।’
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক, সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই মানববন্ধন হয়। সংগঠনের নেতা সাংবাদিক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় মানববন্ধনে ছড়াকার আবু সালেহ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কাদের গনি চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক আবদুল করীম, শামীমুর রহমান শামীম, প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন, প্রকৌশলী ফখরুল আলম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের রফিকুল ইসলাম, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের জাহানারা বেগম, জাসাসের রফিকুল ইসলাম প্রমুখ পেশাজীবী নেতারা বক্তব্য রাখেন।
Comment here