নিজস্ব প্রতিবেদক :মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে সরকার টিকে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত যুব সমাবেশে দলটির তিনি এসব কথা বলেন।
গত ৩১ জুলাই ভোলার সমাবেশে শেষে মিছিল করতে গেলে পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুর রহিম ও ছাত্রদলের নুরে আলমের মৃত্যু এবং জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়। বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে সমাবেশটি শেষ হয় ৫টায়।
সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের এই যুব সমাবেশে জনসমাগমের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়েছে- সরকারের দিন ফুরিয়ে এসেছে, তাদের পক্ষে আর সম্ভব হবে না। বাংলাদেশে যুবসমাজ জেগে উঠেছে। আমরা বিশ্বাস করি যুবকদের এই আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে, তাদের দুর্বার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ দেশকে তারা আবার মুক্ত করবে।’
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, লোডশেডিং এবং সব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি আগামী ১১ আগস্ট ঢাকায় নয়া পল্টনের কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টায় প্রতিবাদ সমাবেশ করবে এবং ১২ আগস্ট সারা দেশে মহানগর ও জেলা পর্যায়ে প্রতিবাদে সমাবেশ হবে। এরপর আমরা আরও বৃহত্তর কর্মসূচির দিকে এগিয়ে যাব এবং এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারের পতন ত্বরান্বিত করব।’
সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘এই সরকার টিকে আছে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে। আজকের জ্বালানি সংকট, অর্থনৈতিক সংকট, আজকের বিদ্যুতের লোডশেডিং, বিদ্যুতের সংকট সব কিছুর মূল্যে হচ্ছে এই সরকারের দুর্নীতি, চরম দুর্নীতি। কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের নামে তারা কীভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে এবং তাদের নিজস্ব লোকজনদের তারা মুনাফা পাইয়ে দিয়েছে।’
যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নার পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বক্তব্য দেন। এ ছাড়া সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, সাইফুল আলম নিরব, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, মহানগর বিএনপির রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।
Comment here