সারাদেশ

সরকার বানভাসিদের পাশে দাঁড়ায়নি : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার বানভাসিদের পাশে দাঁড়ায়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বন্যাপীড়িত মানুষ যখন ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে, সেখানে রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে সংসদে বসে কোনো এক শিল্পীর গান শোনা রীতিমতো মানবতার প্রতি অবমাননার শামিল। কারণ, সংসদ অধিবেশন চলাকালে প্রতি মিনিটে রাষ্ট্রের ব্যয় হয় প্রায় দুই লাখ টাকা।’

সংসদকে ‘রঙ্গশালায়’ পরিণত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘সংসদ অধিবেশনের নামে গান, নাটক, কবিতা আর খিস্তিখেউড় শোনার জন্য রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা খরচ না করে সেই টাকা বরং বন্যার্তদের পেছনে খরচ করা এখন সময়ের দাবি। দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকা এখন বন্যাকবলিত।’

রিজভী বলেন, ‘বন্যায় সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, রংপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ ১৫টি জেলার ৯৫টি উপজেলা ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত। বিশেষ করে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনায় মানবিক সংকট চলছে। ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে মানুষ। কিন্তু সেদিকে সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সরকার বানভাসিদের পাশে দাঁড়ায়নি।’

তিনি বলেন, ‘ত্রাণের নৌযান দেখলেই শত শত বন্যাদুর্গতরা ছুটে যাচ্ছে। এক বেলা খাবারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছে আশ্রয়কেন্দ্রে। ত্রাণ না পেয়ে খালি হাতেও ফিরতে হচ্ছে তাদের।’

বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা বন্যার শুরু থেকেই উদয়াস্ত ত্রাণ কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় ত্রাণ টিম ছাড়াও স্থানীয় নেতাকর্মীরা বানভাসিদের ত্রাণ সহায়তা এবং রান্না করা খাবার বিতরণ করছেন। আর সরকার পদ্মা সেতু নিয়ে তথাকথিত উন্নয়নের গল্প প্রচারে ব্যস্ত।’

 

Comment here

Facebook Share