সরকার ভোটারদের ভয় পায়, তাই নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

সরকার ভোটারদের ভয় পায়, তাই নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক ; জনগণ ভোটকেন্দ্রে না যাক এটাই সরকার চায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘তারা ভোটারদের ভয় পায়। তাই তারা নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে মতিঝিলে নিজ চেম্বারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজনৈতিক দলের যে সভা–সমাবেশ, তা এই জোটের দেখা যায় না। শুধু সচেতনতা তৈরি করে যাচ্ছেন। জনগণের ওপরেই কেন সব দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন? রাজনৈতিক দল হিসেবে তো নেতাদেরও মাঠে থাকার কথা। এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘জনগণের ওপর ভর করেই রাজনীতি। শক্তি জনগণের। তাদের উৎসাহী করতে আমাদের করণীয় অবশ্যই করে যাব। সভা, মিছিল, মিটিং সবই হবে।’

কামাল হোসেন বলেন, ‘জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের লক্ষ্য অর্জন করেছে, পরিবর্তন এনেছে। তার ব্যতিক্রম হবে না। জনগণের মধ্যে একটা ঐকমত্য গড়ে উঠেছে। জনগণ এগিয়ে আসবে। সরকার যা চাইছে, তা করতে পারবে না।’

২০১৮ সাল থেকেই জনগণের কথা বলে আসছে ঐক্যফ্রন্ট। এই জোটের প্রতি মানুষের আশার জায়গা কোনটা? জবাবে কামাল হোসেন বলেন, ‘জনগণের ওপর আমরা পুরোপুরি ভরসা রাখি। ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণ নিজের পরিবর্তন এনেছে।’

তিনি ৬ দফা, স্বাধীনতা আন্দোলন ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘সব সময় জনগণই এগিয়ে এসেছে। এ দেশের মানুষ সচেতন, তারা স্বৈরতন্ত্রকে কোনো দিন গ্রহণ করেনি, এখনো করবে না।’

মানুষের মুক্তির জন্য ঐক্যফ্রন্ট কী করছে? এমন প্রশ্নে ড. কামাল বলেন, ‘আমরা মানুষের কাছে যাচ্ছি। আমরা বলে যাচ্ছি। সরকার দায়িত্বহীনভাবে সংবিধানের পরিপন্থী কাজ করে নির্বাচনের প্রক্রিয়া–পদ্ধতিকে ধ্বংস করেছে। এর ফলেই আজকে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।’

ঐক্যফ্রন্ট দুই প্রার্থীকে সমর্থন দিল, কিন্তু সেই নির্বাচনে মাঠে থাকতে তারা ব্যর্থ কি না? এতে সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকাশ পায় কি না? এ ছাড়া চারটি পথসভার ঘোষণা দিলেও তা হয়নি? তারা ব্যর্থ কি না? এসব প্রশ্নের উত্তরে কামাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাজগুলোকে জোরদার করতে হবে। জনগণকে নিয়ে পরিবর্তন আনতে আমরা বাধ্য। এভাবে দেশ চলতে পারে না।’

এ সময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘এখন থেকে তাদের মাঠে দেখা যাবে।’

খালেদার মুক্তি আন্দোলন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তারা কি যথাযথ কর্মসূচি দিতে পারছে? এ প্রসঙ্গে জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রব বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের কাজ হচ্ছে নির্দেশনা দেওয়া। কার্যকর করবে জনগণ।’

বৈঠক শেষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে জানানো হয়, ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবাসের দুই বছর উপলক্ষে বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সভা হবে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহসীন রশীদ, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়কারী শহিদুল্লাহ কায়সার, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বেপারী প্রমুখ।

Comment here