সাজ্জাদের উপর প্রতারণা ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ক্রাইম

সাজ্জাদের উপর প্রতারণা ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ

কানিজ ফাতেমা :সাজ্জাদ সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বাসায় খুব সিম্পল বিষয় নিয়ে ঝামেলা হলে।সে অফিসের নাম করে বের হয়।কিন্তু অফিসে যায় না। হঠাৎ দেখি তার নাম্বার বন্ধ এবং তিনদিন যাবত তাকে কোনভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।সে সময় জিডি করেছিলাম ক্যান্টনমেন্ট থানা। যেদিন জিডি করেছিলাম সেদিন সন্ধ্যার পরে অফিসে আসেন জানতে পারি এবং বাসায় ফিরে রাত দেড়টার সময়। পরবর্তীতে তাকে জিজ্ঞেস করি কোথায় গিয়েছিল সে উত্তর দিয়েছিল মন খারাপ ছিল জন্য ঘোরাঘুরি করতে গিয়েছে। পটুয়াখালী বরিশাল এসব জায়গা সে গাড়ি নিয়ে একা একা ঘুরেছে আমাকে এটাই বলেছে। তার এক মাস পর তার ফোনে রাত দুইটা হঠাৎ তার ফেক আইডি দেখতে পাই। এবং অনেক মেয়ের সাথে কথা বলে দেখতে পাই। কয়েকটা মেয়ের সাথে তার খুব খাতির নিজেকে সবার কাছে সিঙ্গেল দাবি করে এবং রিলেশন করে কয়েক জনের সাথে। ওখান থেকেই জানতে পারি সে বরিশালে একটি মেয়ের সাথে রাতে ডিনার করেছে এবং তাকে রুম ডেটের অফার দিয়েছে মেয়েটি নিজে আমাকে বলছেন। আরেকজন ছিল বরিশালেরই তার সাথে তার খুবই ভালোবাসার সম্পর্ক সে মেয়েটার সাথে কথা হয়েছে তাকে বলেছে সে সিঙ্গেল এবং সে মেয়েকে বিয়ে করবে তারপর দেশের বাইরে নিয়ে যাবে। পরবর্তীতে মেয়েদেরকে আমি জানাই যে তার ওয়াইফ আমি এবং বাচ্চা আছে তখন মেয়েগুলা ব্লক করে দেয় তাকে এবং বলে যে তারা জানে না জন্যই কথা বলছে। আমার হাজব্যান্ড তখন আমাকে সরি বলে এবং সে এমন কাজ করবে না এই অঙ্গীকার দেয়।

২০২৪ ডিসেম্বরে ১৩ তারিখে রাত সাড়ে আট টায় বাসা থেকে ইসিবি চত্বর খাবার আনার নাম করে বের হয়। হঠাৎ এক, দেড় ঘন্টা পর তাকে কল দিলে রিসিভ করে না এবং ১০ মিনিট পর আবার কল দিলে সবগুলো নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায় পরবর্তীতে আমি ইসিবি চত্বর যাই এবং খোঁজ করি পরে জানতে পারি সে সাহেবান হোটেল থেকে খাওয়া দাওয়া করে অফিস থেকে (তার অফিস পৃথিবীর চত্বর ৭১ টাওয়ার) তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (সার্টিফিকেট পাসপোর্ট) নিয়ে যায়. ভেবেছিলাম আগেও যেহেতু গিয়েছে তাই এবারও চলে আসবে. এই ভেবে ফার্স্টে জিডি করিনি. যখন ৯ দিন হয়ে যায় তখন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিখোঁজের জিডি করা হয়। এবং পুলিশ তদন্ত করে পায় সে নিজে থেকে আত্মগোপনে আছে।

১.১৩ ডিসেম্বর সাড়ে আটটা বাস থেকে বের হলে ১৪ ই ডিসেম্বর সে বসুন্ধরা সিটিতে তার iphone ১২ বিক্রি করে। যা সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশ বের করে।
২.১৫ই ডিসেম্বর ইসিবি চত্বর ইবিএল থেকে এক লক্ষ টাকা তুলে।
৩.২৪ ডিসেম্বর মিরপুর 11 বুথ থেকে ৪০ হাজার টাকা তোলে।
৪.২ জানুয়ারি অফিস স্টাফ মুজাহিদ সাহেবের কাছে একটা চিঠি পাঠায়।

সুতরাং এ সকল তথ্যের ভীতিতে এবং পুলিশ নিজ তদন্তে মিরপুর ১১ থেকে টাকা তোলার সিসিটিভি ফুটেজ নিজ সব চোখে দেখে সিওর হন যে তিনি নিজে থেকে আত্মগোপনে আছেন তাকে অপহরণ করা হয়নি। এবং আমরাও শিওর হই তার এ্যাকটিভিটিজ দেখে।
আজ ৬ মাস তার কোন খোঁজ পাইনি এবং তার পরিবারে মা এবং তার ভাই আছে। সে নিখোঁজ হওয়ার ১৫-২০ দিন পর তার মা গ্রামে চলে যায় তার মায়ের বাসায়। (নানা বাড়ি)তিনিও আমাদের মা মেয়ের খোঁজখবর নেয় না. তার বক্তব্য তার ছেলে নাই সুতরাং তিনি আমাদেরকে এখন চিনেন না. আমার হাজবেন্ডের ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট আছে কিন্তু আমরা বিয়ের পর আলাদা থাকতাম এর বিশেষ কিছু কারণ আছে.
আমার হাজবেন্ডের আগেও বিবাহ হয়েছিল। সেখানে তিনি দুই বছর সংসার করেছেন। ওই মেয়েকে নিয়ে তাদের অভিযোগ ছিল মেয়েটির বাচ্চা হতো না শারীরিক সমস্যা ছিল এবং সে যেমন ওয়াইফ চান সে তার মন মতো না এর জন্য তাকে ডিভোর্স দিয়েছে। আমাকে বিয়ে করার একমাস আগে তাকে ডিভোর্স দিয়েছে অথচ আমি জানতাম ছয় মাস আগে সব ক্লিয়ার হয়ে গিয়েছে। যাই হোক ওটা বিষয় না বিয়ে তো করে ফেলেছি সুতরাং সেটি নিয়ে তখন আর কোন আপত্তি ছিল না । আমার বিয়ের পর তার মা খালা নানি আত্মীয়-স্বজন খুবই ডিস্টার্ব করত এবং তার খালার বাসা আমার বাসার পাশে ছিল। সে খালা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘন্টায় আমার বাসায় থাকত এবং সকল বিষয়ে নাক গলা নানান ঝামেলা করতো মাঝেমধ্যে গায়ে হাত তুলতে আসতো। আমার শাশুড়ি আমাদেরকে এক রুমে থাকা একসাথে খাওয়া কোথাও ঘুরতে যাওয়া হাজব্যান্ড ওয়াইফের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক দেখলে সে হিংসা করতো এবং ঝামেলা করার চেষ্টা করত এবং করছেও। সে চলে গেছে আজ ছয় মাস তার এবং তার পরিবারের লোক কেউ আমাদের মা মেয়ের খোঁজখবর নেয় না।আমার হাজবেন্ডের কোম্পানিতে আমার বোনের ৬ লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করা আছে ২০২৫ এর জানুয়ারি মাসে দিয়ে দেওয়ার কথা ছিল গত বছর এই টাকাটা দিয়েছিল।

যেহেতু সে নিজে আত্মগোপনে আছে তাই পুলিশ আমাকে পরবর্তীতে কোন সাহায্য করে নাই।
এখন পর্যন্ত তার কোন খোঁজ খবর আমি পাইনি এবং আমাকে কোন লিগ্যাল নোটিস ও পাঠাইনি ডিভোর্সের।

সে চলে যাওয়ার পর আমার বাসা ভাড়া ছিল বিশ হাজার সবকিছু মিলে ২৫ হাজার টাকা সে যাওয়ার সময় বাসার বাজার পর্যন্ত করে দিয়ে যায় নাই। আমার ছয় মাসের বাচ্চাকে ফেলে রেখে চলে যায়। বাসা ভাড়া খাওয়া-দাওয়া খরচ সবকিছু আমার পরিবার বহন করে। আমার মেয়ের বয়স বর্তমান ১১ মাস। তার নিখোঁজ হওয়ার ছয় মাসে একটা কল মেসেজ কোন কিছু তার এবং তার পরিবার থেকে আসেনি।

এখনো আমি তাকে খুঁজে যাচ্ছি কারণ তার কাছে আমার বোনের টাকা এবং আমার মেয়ের বাবা সে এই হিসেবে এবং সে আমার লিগেলি হাসবেন্ড আছেন কাগজ কলমে।

সে চলে যাওয়ার পর আমি বাসা ছেড়ে দেয় কারণ বাসা ভাড়া দেওয়ার মতো সামর্থ্য আমার ছিল না।তাই তাদের যে ফ্ল্যাট আছে আলাব্দীরটেক সেখানে আমি থাকতে গেলে তখন আমাকে উঠতে দেয়নি তার মা। এবং তালা বদ্ধ করে চলে যায়। পরবর্তীতে আমি চলে আসি আমার ভাইয়ের বাসায় থাকি। সে চলে যাওয়ার সময় বাসায় এক পয়সাও রেখে যায় না বরং যার থাকে সবকিছু নিয়ে যায় নিঃস্ব করে রেখে যায় আমাকে.।

শেখ মো. সাজ্জাদ হোসেন তপু,পিতা: শহিদুল ইসলাম,মাতা:লুবনা ইসলাম

 

শেখ সাজ্জাদ হুসাইন তপু শুধু মাত্র ওয়াইফের সাথে প্রতারণা করে নাই এরকম বহু মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে। শ্বশুরবাড়ি থেকে সে ৬ লক্ষ টাকা কোম্পানিতে ইনভেস্ট করার নামে নিয়েছিল এরকম অনেক ডিফেন্সের লোকদের টাকা সে নিয়েছে।
তার কোম্পানি অনির্বাণ বিল্ডার্স লিমিটেডে যারা কর্মরত ছিলেন এবং তার কোম্পানিতে অনেকে টাকা ইনভেস্ট করেছিল। তার নিজের আপন ফুফু এবং অফিস ইমপ্লয়ি দের লক্ষ লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করা তার কোম্পানিতে। সে সকল টাকা নিয়ে সে আত্মগোপনে আছেন। টোটাল এক কোটির বেশি টাকা বেশি টাকা সেই হাতিয়ে নিয়েছে এবং বর্তমানে পলাতক। এবং তার পরিবারে মা ভাই তারাও আত্মগোপনে আছেন।
তার জন্য আমি ওয়াইফ বর্তমানে রাস্তাঘাটে বের হতে পারছি না এবং বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হচ্ছি স্বাভাবিক জীবন অতিবাহিত করতে পারছি না।।
সুতরাং সে হয় নিজে আত্মসমর্পণ করুক, না হয় কেউ যদি তাকে ধরিয়ে দিতে পারে তাহলে তাকে পুরস্কার স্বরূপ ৫০,০০০ টাকা দেওয়া হবে।

Comment here