সার্বক্ষণিক মনিটর করা হচ্ছে - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

সার্বক্ষণিক মনিটর করা হচ্ছে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র সম্ভাব্য আঘাতে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সরকারের সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। গতকাল বিকালে সচিবালয়ে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের (বিসিএজএফ) সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ফণীর বর্তমান অবস্থান এবং গতিবিধি দুর্যোগ মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর, অধিদপ্তর সার্বক্ষণিক মনিটর করছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় শতভাগ প্রস্তুতি নিয়ে রাত-দিন কাজ করছে। এ কাজে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোকেও মাঠপর্যায়ে কাজে লাগানো হয়েছে।

এনামুর রহমান বলেন, ফণীর আঘাতে যেন জানমালের ক্ষতি না হয় সে জন্য আজ শুক্রবার দেশের সব মসজিদে জুমার নামাজে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হবে। তিনি বলেন, সাগরে সৃষ্ট ফণীর কারণে মোংলা ও পায়রা বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৪ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত জারি করা হয়েছে। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের ৭০০ মাইল দূরে শক্তিশালী ফণী অবস্থান করছে। প্রতিমন্ত্রী জানান, ফণীর কারণে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়, মঙ্গলা বন্দর, পায়রা বন্দর, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ফারার সার্ভিস, সংশ্লিষ্ট জেলা-উপজেলার চিকিৎসক ও নার্সদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটর করতে একটি মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে উপকূলীয় ১৯ জেলা ও এর সঙ্গে যুক্ত উপজেলাগুলোয় জরুরি ৪১ হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেট, প্রয়োজনীয় বিশুদ্ধ পানীয়জল, বিস্কুট ও খাবার সেলাইন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে ৩০টি ওয়াটার ট্রাক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কক্সবাজারে ফণী আঘাত হানলে সে ক্ষেত্রে তাদের রক্ষায় গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে এনামুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত আবহাওয়া বার্তায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজারে আঘাতের তেমন আশঙ্কা নেই। তবুও সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে রোহিঙ্গাদের জানমাল রক্ষায়। পাশাপাশি ৩০ হাজার রোহিঙ্গা যুবককে দুর্যোগ, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি থেকে পরিত্রাণে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তারাই রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষায় ভূমিকা রাখবে।

Comment here