সিনোভ্যাকের টিকার পরীক্ষায় অর্থায়ন করবে না সরকার : স্বাস্থ্যমন্ত্রী - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

সিনোভ্যাকের টিকার পরীক্ষায় অর্থায়ন করবে না সরকার : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :  সরকার বাংলাদেশে চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক দ্বারা উদ্ভাবিত করোনভাইরাসের সম্ভাব্য টিকার চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষায় অর্থায়ন করবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সিনোভ্যাক সরকারকে বাংলাদেশে টিকার পরীক্ষার জন্য অর্থায়নের অনুরোধ করার কয়েক সপ্তাহ পরেই তিনি এ মন্তব্য করেন। গতকাল মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে তিনি এ কথা বলেন।

সিনোভ্যাক এক চিঠিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে যে, বাংলাদেশে অনুমোদন পেতে দেরি হওয়ার ফলে অন্যান্য দেশে টিকার পরীক্ষায় অর্থ বরাদ্দ হয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা এই ক্ষেত্রে সহ-অর্থায়ন করছি না। এটি চুক্তিতে ছিল না। তারা যখন আমাদের কাছে এসেছিল তখন টাকা চায়নি। চুক্তি অনুসারে, তারা পরীক্ষার সমস্ত ব্যয় বহন করবে, আমাদের ১ লাখ ১০ হাজার বিনামূল্যে টিকা দেবে এবং তারা উৎপাদনের প্রযুক্তিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেবে যাতে আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাগুলি টিকা তৈরি করতে পারে, এমনটাই কথা ছিল।’

 

প্রসঙ্গত, সিনোভ্যাক, যা গত মাসে তুরস্কে ‘করোনাভ্যাক’ নামক টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু করেছে, তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। সরকারকে সেপ্টেম্বরে পাঠানো চিঠিতে সিনোভ্যাক আরও বলেছে যে, তারা দাতব্য সংস্থা কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস’র (সিইপিআই) কাছ থেকে টিকার পরীক্ষার জন্য অর্থ বরাদ্দ চেয়েছিল–কিন্তু এই প্রচেষ্টা সফল হয়নি।

‘আমরা অক্টোবরের শেষ বা নভেম্বরের শুরুতে তহবিলের পরিস্থিতি আংশিকভাবে সংশোধন করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি’, চিঠিতে সিনোভ্যাক জানিয়েছে। তবে এটাও উল্লেখ করেছে যে, বাংলাদেশে পরীক্ষা শেষ করতে এখনো তাদের অর্থায়নের প্রয়োজন হবে।

সরকারের রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা জুলাইয়ে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার জন্য সম্মতি দেয় এবং একমাস পরে সরকারের অনুমোদন আসে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিনোভ্যাক এখনো তাদের নিজস্ব অর্থায়নে টিকার পরীক্ষা করতে পারে। তারা পরীক্ষা করতে পারে। তবে আমরা একটি বেসরকারি সংস্থার সাথে অর্থায়নের মাধ্যমে টিকার পরীক্ষা করতে পারি না। সহ-অর্থায়নের জন্য আমাদের সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকার অ্যাস্ট্রাজেনেকাসহ কমপক্ষে পাঁচটি অগ্রণী সংস্থার সাথে টিকা নিয়ে আলোচনা করছে। আমরা আমাদের জনগণের জন্য সেরা টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করব। আমরা এর জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছি এবং আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরাও আমাদের অর্থ সহায়তা দিতে আগ্রহী।’

 

Comment here