সুন্দরগঞ্জে স্বচ্ছ নেতৃত্ব চায় তৃণমূল নেতাকর্মী

জয়ন্ত সাহা যতন : জেলা-উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলন করতে নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই সম্মেলনকে ঘিরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা।এবার ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছেন তাঁরা। সম্মেলনকে ঘিরে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।জানা যায়, এরই মধ্যে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সদস্য নবায়ন এবং নতুন সদস্য সংগ্রহের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। তবে ওয়ার্ড পর্যায়ে সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। একই পরিবারের লোকজন একাধিক কুপন সংগ্রহ করে সদস্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ। ওয়ার্ড সম্মেলনে পরিবারের ‘ভোট সাপোর্টে’ নির্বাচিত হওয়ার জন্য অনেকেই এ পন্থা অবলম্বন করছেন বলে কয়েকজন নেতাকর্মীর ধারণা।

কেউ কেউ আবার কুপন ছাড়াই উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হয়েছেন বলে অভিযোগ। এরই মধ্যে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করেছে যাচাই-বাছাই কমিটি। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন সম্মেলনে বিজয়ী দুই সভাপতি এবং দুই সাধারণ সম্পাদক উপজেলা সম্মেলনে ভোট দেবেন। একটি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নের কমপক্ষে ৩৩০ জন তৃণমূল নেতাকর্মী ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। সম্মেলনে সভাপতি পদে চারজন ও সাধারণ সম্পাদক পদে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। কেন্দ্র থেকে আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্মেলন শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ উপজেলায় এখনো সম্মেলনের দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। তবে সম্মেলনকে ঘিরে মাঠ গোছাতে ব্যস্ত পদপ্রত্যাশীরা।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরুজা বারী বলেন, ‘আমরা তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভোটে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন কমিটি গঠন করব। জামায়াত-শিবিরের কেউ যেন কমিটিতে স্থান না পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে। আর বিগত নির্বাচনে যারা নৌকার বিরোধিতা করেছিল তাদের কোনো পদ-পদবি দেওয়া হবে না। ’বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক মকবুল হোসেন বলেন, ‘সম্মেলনকে ঘিরে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আগামী সম্মেলনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভোটে স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব আসবে।