স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ক্রাইম

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি : নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বড়ইতলীতে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে পাহাড়ে ফেলে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার সকালে বড়ইতলী এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম রেশমা আক্তার (১০)। সে বড়ইতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল। তার বাবার নাম নুর মোহাম্মদ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে আটক করা হয়েছে রাসেল (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা যুবককে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে রেশমা আক্তার বাড়ির কিছু দূরে বড়ইতলী শ্মশানখোলা (চিতাখোলা) এলাকায় গরু চরাতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। দীর্ঘ সময়েও বাড়িতে না ফেরায় তার বাবা, আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। গতকাল সকালে স্থানীয় বৌদ্ধমন্দিরের পশ্চিম পাশে একটি ঝিরিতে বিবস্ত্র অবস্থায় রেশমার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তার শরীরে রক্ত ও গলায় কালো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা ও ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে বান্দরবান জেলা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। পরে রাসেলকে আটক করা হয়।

ঘুমধুম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বদিউল আলম জানান, লাশের কিছু দূরে পড়ে থাকা একটি রক্তমাখা শার্ট দ্বারা রাসেলকে ধর্ষক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তার বাবা নুরুল ইসলাম এলাকার ভোটার নয়। দীর্ঘদিন আগে তারা মিয়ানমার থেকে এসে এ এলাকায় আশ্রয় নেয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ধর্ষক রাসেলকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

Comment here