স্কুলে নারীকে একা পেয়ে ‘ধর্ষণচেষ্টা’ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

স্কুলে নারীকে একা পেয়ে ‘ধর্ষণচেষ্টা’

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের উলিপুরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সঠিক বিচার না পেয়ে ঘটনার আট দিন পর গতকাল শুক্রবার মামলা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। উপজেলার ধামশ্রেণি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতিত পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ধামাচাপা দিতে অভিযুক্তকে দিয়ে ‘ক্ষমা চাওয়ার’ মাধ্যমেই বিচার শেষ করেন গ্রামের মাতব্বররা। সালিসে সঠিক বিচার না পাওয়ায় থানায় অভিযোগ দিতে চাইলে নির্যাতিতার পরিবারকে বাধা ও হুমকি দেয় তারা।

নির্যাতিতার পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর ওই এলাকার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক নারী (৩০) বাড়ির স্কুলের মাঠে ছাগল চরাতে যান। এ সময় বৃষ্টি শুরু হলে তিনি ছাগলসহ স্কুলের বারান্দায় আশ্রয় নেন। সেখানে প্রতিবেশী কপিল উদ্দিনের ছেলে মোস্তাফিজার রহমান (৪৫) ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ওই নারীর চাচি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ওই ঘটনা দেখে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে মোস্তাফিজার পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগীর মা ও বোন অভিযোগ করেন, ওই ঘটনায় অভিযোগ দিলে তিনদিন পর স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন খন্দকার মন্টুর নেতৃত্বে সালিস করা হয়। সেখানে তাদের পরিবারের সদস্যদের সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। পরে অভিযুক্ত মোস্তাফিজারকে দিয়ে ভুক্তভোগী নারীর হাত ও তার মায়ের পা ধরার মাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে বিচার শেষ করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়।

তারা আরও জানান, সুষ্ঠ বিচার না পেয়ে থানায় অভিযোগ করতে চাইলে ওই মাতব্বরা তাদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি ও বাঁধা প্রদান করতে থাকেন। মাতব্বরা বলেন, ‘বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে মীমাংসা করা কাগজে সকলের স্বাক্ষর রয়েছে। এ ব্যাপারে কোথাও অভিযোগ করে লাভ হবে না।’

নিরুপায় হয়ে নির্যাতিতার পরিবার থানায় এসে ঘটনার আট দিন পর গতকাল শুক্রবার মামলা দায়ের করেন। ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন খন্দকার মন্টু সালিস বৈঠকের কথা স্বীকার করেন।

তিনি বলেন, ‘উভয়পক্ষের সম্মতিতে সামাজিক কারণে মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। মামলা করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সঠিক নয়। মীমাংসা না মানলে তারা আইনের আশ্রয় নিতেই পারে।’

উলিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমীন জানান, ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

 

Comment here