শিবপুর (নরসিংদী) প্রতিনিধি : নরসিংদীর শিবপুরে পারিবারিক কলহের জেরে কাঠমিস্ত্রী কর্তৃক স্ত্রী ও বাড়িওয়ালা দম্পত্তিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আহত বাড়িওয়ালার মেয়ে কুলসুম বেগম (২৩) মারা গেছেন। আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ওই ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হলো।
নিহত কুলসুম বেগমের স্বামী জিয়াউর রহমান তারেক ও শিবপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত রোববার(১৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে পারিবারিক কলহের জেরে শিবপুর উপজেলার কুমরাদী গ্রামের ভাড়াটিয়া কাঠমিস্ত্রি বাদল মিয়া তার স্ত্রী নাজমা বেগমকে (৪০) কুপিয়ে আহত করে। এ সময় তাকে বাধা দিতে গেলে তার এক সন্তানসহ বাড়ির মালিক তাজুল ইসলাম (৫৫), তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫) ও তাদের মেয়ে কুলসুমকে ছুরিকাঘাতে আহত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্ত্রী ও বাড়িওয়ালা দম্পত্তিকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয় আহত কুলসুম বেগমকে। এ ঘটনায় কাঠমিস্ত্রি বাদল মিয়াকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে আশেপাশের লোকজন।
ওই ঘটনায় রোববার রাতেই অভিযুক্ত বাদল মিয়াকে আসামি করে শিবপুর মডেল থানায় মামলা করেছেন নিহত বাড়িওয়ালা তাজুল ইসলামের ছেলে শাহিন মিয়া। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিযুক্ত বাদল মিয়া। সুস্থ হওয়ার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Comment here