স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অপসারণ চায় ড্যাব - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
মুক্ত বাক

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অপসারণ চায় ড্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য নির্ধারিত এন-৯৫ মাস্কের পরিবর্তে সাধারণ মাস্ক সরবরাহ করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি উল্লেখ করে ভুলবশত এন-৯৫ মাস্কের মোড়কে সাধারণ মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানায় সরকারি প্রতিষ্ঠানটি।

ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

আজ রোববার এক বিবৃতিতে ঘটনাটিকে ‘দুর্নীতি ও অপকর্ম’ মন্তব্য করে ড্যাব। একই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িত স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের অপসারণ দাবি করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে জোর দাবি জানায় সংগঠনটি।

অন্যথায় চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনতার আদালতেই তাদের বিচার করবে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

ড্যাবের বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা প্রদানকারী চিকিৎসক ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য নির্ধারিত এন-৯৫ মাস্কের পরিবর্তে সাধারণ মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (গত ১৭ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, ভুলবশত এন-৯৫ মাস্কের মোড়কে সাধারণ মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছে। ড্যাব এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

সংগঠনাটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ ও মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, তাদের তথাকথিত এই ভুলের জন্যই বর্তমানে এক শতাধিক চিকিৎসকসহ প্রায় ৩০০ স্বাস্থ্যকর্মী মরণঘাতী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত, পাঁচ শতাধিক কোয়ারেন্টিনে এবং একজন মেধাবী চিকিৎসক ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন। তারা মনে করেন, এটি কোনো ভুল নয় বরং দীর্ঘ ১১ বছর ধরে স্বাস্থ্যখাতে প্রবাহমান দুর্নীতির প্রকাশিত একটি রূপমাত্র।

চিকিৎসকরা বলেন, সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা করেছেন, মানুষকে ধোঁকা দিয়ে সহানুভূতি আদায়ের একটি প্রয়াস চালাচ্ছেন। ড্যাব দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চায়, এ দেশের চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মী ও জনগণ আপনাদের এই কর্মকাণ্ড এবং মিথ্যাচার কখনো মেনে নেবে না। সময় এসেছে ভাঁওতাবাজি ও দুর্নীতির জবাবদিহি করার। জনগণের আদালতে অচিরেই আপনাদের মুখোমুখি হতে হবে।

Comment here