নিজস্ব প্রতিবেদক : মহামারি করোনাভাইরাসে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনিশ্চয়তার মধ্যেই হজের জন্য নিবন্ধন করার সময় আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এর আগে নিবন্ধনের যে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল তা আজ বুধবারই শেষ হওয়ার কথা ছিল।
বুধবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘২০২০ সালের সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে আগ্রহী প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তিবর্গের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ২০২০ সালে হজ করতে ইচ্ছুক, নিবন্ধনের জন্য পাসপোর্ট প্রদানকারী অনেকে সরকারি ছুটির কারণে ব্যাংক থেকে নিবন্ধন ভাউচার গ্রহণ করতে পারেননি। ইতোমধ্যে নিবন্ধন ভাউচার গ্রহণকারী অনেকে টাকা জমা প্রদান করতে না পারায় নিবন্ধন করতে পারেননি। এমতাবস্থায় ২০২০ সালে সরকারি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নিবন্ধনের সুবিধার্থে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত সকল প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তিসহ হজে গমনেচ্ছু যেকোনো ব্যক্তি নতুনভাবে একইসঙ্গে প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন করতে পারবেন। অন্যদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্রমিক ৬.৭২.১৯৯ পর্যন্ত ব্যক্তিগণের মধ্যে ‘আগে আসলে আগে নিবন্ধন করা হবে’ ভিত্তিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের সুবিধার্থে আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কেন্দ্রে পাসপোর্ট দাখিল করতে হবে।’
‘বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তিগণ শুধুমাত্র ১,৫১,৯৯০.০০ (১ লাখ ৫১ হাজার ৯৯০ টাকা) টাকা জমা প্রদান করে নিবন্ধন করবেন। আপাতত কোনো অবস্থাতেই এর অতিরিক্ত টাকা জমা প্রদান করবেন না। কোনো এজেন্সি নিবন্ধনের জন্য অতিরিক্ত টাকা দাবি করলে তাৎক্ষণিকভাবে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে।’
‘হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় গৃহীত অর্থ, কোনো অবস্থাতেই এ পর্যায়ে হজ কার্যক্রম বাবদ বাংলাদেশে ব্যয় করা যাবে না এবং সৌদি আরবেও প্রেরণ করা যাবে না। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ব্যতীত কোনো এজেন্সি ব্যাংক থেকে এ টাকা উত্তোলন করতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপকগণকে এ ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য অনুরোধও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
Comment here