‘হতাশায়’ বিএনপি নেতার আত্মহত্যা! - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
রাজনীতি

‘হতাশায়’ বিএনপি নেতার আত্মহত্যা!

শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বিএনপি নেতা আমিরুল ইসলাম (৫০) আত্মহত্যা করেছেন। তিনি নালিতাবাড়ী উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।

ওই নেতা দীর্ঘদিন ধরে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন বলে পুলিশ ও স্বজনরা জানিয়েছেন।

গতকাল বুধবার রাতে আমিরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার গড়কান্দা কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। আমিরুল গড়কান্দা গ্রামের মকরব আলীর ছেলে।

পরিবার, পুলিশ ও বিএনপি নেতারা ধারণা করছেন, আর্থিক অস্বচ্ছলতা থেকে সৃষ্ট হতাশা থেকেই আমিরুল আত্মহত্যা করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আমিরুল ইসলাম তিন সন্তানের জনক। পারিবারিকভাবে তিনি বেশ সম্পদশালী ছিলেন। নিজে কোনো কাজ না করে বিএনপির রাজনীতি করা আমিরুল পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করতে থাকেন। পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করতে করতে শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি হতাশায় ভুগতে থাকেন। হতাশায় আক্রান্ত আমিরুল প্রায়ই ‍ঘুমের ওষুধ খেতেন। গতকাল বুধবার রাতে তিনি ২৮টি ঘুমের ওষুধ খান। পরে তিনি স্ত্রী ও মেয়েদের বকাবকি করে ঘর থেকে বের করে দেন।

এরপর আমিরুলের স্ত্রী ও মেয়েরা আমিরুলের মায়ের ঘরে আশ্রয় নেন।  রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমিরুলের স্ত্রী ঘরে ঢুকে তার স্বামীর কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ার পর গলায় রশি দেওয়া অবস্থায় ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

আমিরুলের স্ত্রী জোসনা বেগম বলেন, ‘আমাদের ভাতের অভাব ছিল না। তবে আগে সম্পত্তি ছিল, কিন্তু সব বিক্রি করে ফেলায় আমার স্বামী সবসময় হতাশায় থাকতেন। তিনি শুধু টাকা টাকা করতেন। এর আগেও তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।’

নালিতাবাড়ী শহর বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমিরুলের মৃত্যুর ঘটনাটি দুঃখজনক। মূলত হতাশা থেকেই তার মৃত্যু হয়েছে।’

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কমকতা (ওসি) বাছির আহমেদ বাদল বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। পরিবারের লোজনের সাথে কথা বলে বুঝতে পেরেছি একসময় তাদের সয়-সম্পত্তি ছিল। কিন্তু সেগুলো বিক্রি করে ফেলার পর থেকে আমিরুল হতায় ভুগছিলেন। এ কারণেই ফাঁসিতে ঝুলে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।’

Comment here