নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শহিদ ইসলাম পাপুলের ব্যাপারে তদন্ত করছে সিআইডি। তবে মানবপাচারের দায়ে কুয়েতে গ্রেপ্তার এই সাংসদের ব্যাপারে এখনই কোনো কিছু বলতে চায় না সংস্থাটি।
যদিও সংস্থাটির সংঘবদ্ধ অপরাধ দমন বিভাগের উপমহাপরিদর্শক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন, ‘উইথ এভিডেন্স (সাক্ষ্য প্রমাণসহ) আমরা বলব, হ্যাভ পেশেন্স (ধৈর্য ধরুন)।’
কুয়েতে গ্রেপ্তার এমপি পাপুলের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে দেশটিতে যে তদন্ত চলছে, এ ব্যাপারে সিআইডি কিছু করছে কিনা বা কুয়েতের সরকার যে অভিযোগ তুলেছে, তা ভিত্তিহীন কি না- এসব প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন ইমতিয়াজ।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মাহবুবুর রহমান। তিনি সিআইডির তদন্তকে আরও গতিশীল করতে কাজ করছেন বলে জানান। আগে ষাট বা সত্তর শতাংশ ক্ষেত্রে মৌখিক স্বীকারোক্তির ওপর সিআইডি নির্ভর করতো, এখন ষাট থেকে সত্তর শতাংশ ফরেনসিক সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করার চেষ্টা চলছে।
লিবিয়ায় ২৬ জন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনজন মূল হোতাকে শনাক্ত করেছে সংস্থাটি। তদের সম্পদের খোঁজও চলছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ না করতে চায় না সিআইডি। তবে তাদের সম্পর্কে শিগগিরই বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানায় সংস্থাটি।
মাহবুবুর রহমান জানান, বিভাগটি ২২ ধরনের মামলা করে থাকে। ৮২ ভাগ ক্ষেত্রে তারা অভিযোগপত্র দিয়েছে, তবে সাজা হয়েছে ২৪ ভাগ ক্ষেত্রে।
এক প্রশ্নের উত্তরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বলেন, ‘কেন শাস্তির হার কম জানতে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। বিচারক, আইনজীবীদের নিয়ে গঠিত কমিটি মাসখানেকের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।’
তিনি আরও জানান, সিআইডি সাইবার থানা স্থাপন করবে। ঢাকায় থানাটি স্থাপন করা হলেও, সারা দেশ থেকে অনলাইনে এই থানায় অভিযোগ দায়ের করার সুযোগ পাবেন ভুক্তভোগীরা।
Comment here