৩৪ হাজার কোটি টাকা জ্বালানি খাতে - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

৩৪ হাজার কোটি টাকা জ্বালানি খাতে

নতুন অর্থবছরে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী, যা সদ্য বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে ৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা বেশি।

গেল অর্থবছরে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ ছিল ২৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। তবে সংশোধিত বাজেটে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৭ হাজার ৮৯ কেটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা এবং গত ১৪ বছরের সাফল্য তুলে ধরা হলেও বিদ্যমান লোডশেডিং ও জ্বালানি সংকট থেকে উত্তরণে তেমন দিকনির্দেশনা ছিল না।

এ খাত নিয়ে লিখিত বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তায় আমরা অঙ্গীকার করেছিলাম। এ লক্ষ্যে শতভাগ জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এনেছি। ২০০৯ সালে ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল, বর্তমানে সেটা ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট।’

advertisement…

বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানির বহুমুখিতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে গ্যাস, কয়লা, তরলজ্বালানি, দ্বৈত-জ্বালানি এবং পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ও নবায়নযোগ্য জ¦ালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক ১২ হাজার ৯৪ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এবং ১৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি প্রক্রিয়াধীন আছে। এ ছাড়া ১০ হাজার ৪৪৩ মেগাওয়াটের আরও ৩৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পাশর্^বর্তী দেশগুলো থেকে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। সিস্টেম লস ১৪ থেকে ৭ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।’

জ্বালানি নিরাপত্তার গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জ্বালানি তেলের মজুদ ৮ দশমিক ৯৪ লাখ মেট্রিক টন থেকে বাড়িয়ে ১৩ দশমিক ৬০ লাখ মেট্রিক টন করা হয়েছে।’

Comment here