নিজস্ব প্রতিবেদক : ৩৫ লাখ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন, সঙ্গে তাদের বাবা-মা ভাই বোনেরাও আছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। গ্রেপ্তারের ভয় না দেখিয়ে আওয়ামী লীগের সতর্ক হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘বিএনপি আন্দোলন করার আগেই তো আপনারা ভয় পেয়ে গেছেন। কখন কী হবে বুঝতে পারছেন না।’
বিএনপির কর্মীদেরকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের আলাল সাহেব তথ্য দিলেন আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এখন মামলার সংখ্যা ২৬ লাখ নয় ৩৫ লাখ। অর্থাৎ ৩৫ লাখ আমাদের নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন, তাদের বাবা মা ভাই ও বোনেরাও রয়েছেন। সুতরাং আওয়ামী লীগের সতর্ক হওয়া উচিত। বাংলাদেশের কোটি কোটি বিএনপি সমর্থক এবং জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছে। কখন কী হবে বুঝতে পারছেন না।’
আন্দোলন করলে বিএনপিকে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এমন বক্তব্যের উদ্ধৃতি টেনে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলন করার আগেই তো আপনারা ভয় পেয়ে গেছেন, গ্রেপ্তার করা শুরু করে দিয়েছেন। আপনারা যে দাঁতভাঙা জবাব দেবেন আপনাদের কি কামড় দেওয়ার সেই দাঁতগুলো আছে? আমি চ্যালেঞ্জ করে বলে দিতে চাই আওয়ামী লীগের ছোট্ট একটি মটরশুটি কামড় দেওয়ার যোগ্যতাও নাই।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পেটোয়া বাহিনী পুলিশ-র্যাব বিজিবি ছাড়া এক মিনিটও ক্ষমতায় থাকার ক্ষমতা নেই তাদের। সেই ক্ষমতা আওয়ামী লীগের আর নেই, বেশি কথা বলা ঠিক নয় কাদের সাহেব। গ্রেপ্তারের ভয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা গর্তে লুকিয়ে থাকে না। আমাদের ভয়ের কিছু নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ ছাড়া এই আপনাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো উপায় নেই। দল দিয়ে আওয়ামী লীগ টিকে থাকবে সেই দল আওয়ামী লীগ এখন আর নেই। শেখ মুজিবের আমলে যে আওয়ামী ছিল সেই আওয়ামী লীগের কথা এখন আপনারা ভুলে যান, সেই আওয়ামী লীগকে আপনারা অনেক আগেই কবর দিয়ে দিয়েছেন। সেই আওয়ামী লীগকে আজকের আওয়ামী লীগ খেয়ে ফেলেছে।’
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা জানিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়া অসুস্থ, তার সঙ্গে এখন আর দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না, সন্দেহ হচ্ছে তাকে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করা হচ্ছে কি না ক্ষতি করার জন্য। খালেদা জিয়ার ক্ষতি হলে তার হিসাব জনগণ পাই পাই করে নেবেন।’
এসময় তিনি সুপ্রিম কোর্টে তার শারীরিক অবস্থার সঠিক অবস্থা তুলে ধরার আহ্বান জানান।
বরিশাল গৌরনদী উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় মির্জা আব্বাস প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, পল্লী উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।
Comment here