দুর্গাপূজা, ঈদে মিলাদুন্নবী এবং সাপ্তাহিক ছুটিসহ মোট পাঁচ দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত পটুয়াখালীর কুয়াকাটা। গতকাল বুধবার বিকেল থেকেই সৈকতে পর্যটকদের আগমন ঘটে। পর্যটকদের ভিড়ে বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার রিসোর্ট ও হোটেলের অধিকাংশ রুম। এ ছাড়া বিভিন্ন পর্যটন স্পটে বেড়েছে পর্যটকদের বাড়তি আনাগোনা।
আগত পর্যটকরা সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালীতে মেতেছেন। অনেকে আবার উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত, সমুদ্রের ঢেউ, সবুজ বনানীর অপার ছোঁয়া আর লাল কাকড়ার অবাধ বিচরণ দেখতে পর্যটকদের এখন ক্লান্তিহীন ছুটে চলা। রাখাইন মার্কেট, ঝিনুক মার্কেট, শুটকি মার্কেট, খাবার হোটেলসহ বাহারি পণ্যের দোকানেও রয়েছে পর্যটকদের সরব উপস্থিতি।
পর্যটন নগরী কুয়াকাটার সবচেয়ে বড় বাধা ছিল সড়ক পথে যোগাযোগ না থাকা। তবে পদ্মা সেতু চালুর পর কেটে গেছে সব বাধা। যোগাযোগ সুবিধার কারণে ভিড় বেড়েছে পর্যটকদের। ছোট বড় মিলিয়ে দেড়শ হোটেল রিসোর্ট থাকলেও সরকারি ছুটি কিংবা বিশেষ দিনগুলোতে রুম পান না পর্যটকরা। আশেপাশের বাড়িগুলোকে কমিউনিটি ট্যুরিজমের আওতায় এনে রুম ভাড়া দেওয়া হলেও তাতে সংকলন হচ্ছে না। তাই অনেকে রাত্রিযাপন করে সৈকতে থাকা বেঞ্চ ও মসজিদ-মন্দিরের বারান্দায়।
কুষ্টিয়া থেকে আগত পর্যটক মো. রোহান (২৭) বলেন, প্রথমবার কুয়াকাটায় এসেছি। খুব ভালো লাগছে। তবে বিচের পরিবেশ ভালো না। আরও পরিষ্কার পরিছন্ন থাকলে ভালো লাগত।
ময়মনসিংহ থেকে আসা পর্যটক রিনা (৩০) বলেন, এখানকার খাবারের মান অতটা ভালো না। রুম ভাড়াও একটু বেশি মনে হচ্ছে।
পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় পর্যটন স্পটগুলোতে মোতায়েন রয়েছে মহিপুর থানা, পুলিশ ট্যুরিষ্ট পুলিশসহ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
Comment here