নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রচলিত আইন, সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার কারণেই ইতিমধ্যে অনেক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, দোকান, শপিংমল এবং কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘ইতিমধ্যে ৬৫ লক্ষ মানুষ ঢাকা শহর ছেড়ে গেছে, তাই ঈদের পর স্বাস্থ্যবিধিসমূহ প্রতিপালনে আরও কঠোর হয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীতে ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল’, টঙ্গী ডাইভারশন রোডের পাশে ‘কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল’ এবং উত্তরায় ‘কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল’—এর কর্তব্যরত ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও আনসারসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করায় তিনি ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে অভিনন্দন জানান।
তিনি জানান, নগর পিতা হিসেবে নয়, নগরবাসীর সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং সেবক হিসেবেই থাকতে চান।
ডিএনসিসি মেয়র জানান, তিনি সব সময় ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশে ছিলেন, এখনও আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘নগরবাসীর স্বাস্থ্য সেবার জন্যই সাত দশমিক এক সাত একর জমিতে তৈরি এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনবিশিষ্ট ডিএনসিসির একটি বিপণীবিতানকে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট দেশের সবচেয়ে বড় “ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল” এ রূপান্তরিত করা হয়েছে।
উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের যে ১৪ টি কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে সরকার যদি এগুলোকে হাসপাতাল বানিয়ে চিকিৎসা সেবায় ব্যবহার করতে চায় তাহলে তার পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।’
Comment here