কলিহাসান,দুর্গাপুর : ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল)-এর ১০ টাকা কেজির চাল কিনতে ছয় কিলোমিটার দূর থেকে নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌর সদরের নাজিরপুর মোড়ে এসেছিলেন নূর ভানু। কাপাসাটিয়ার এই নারী দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও চান কিনতে পারেননি।
নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে দৈনিক মুক্ত আওয়াজকে নূর ভানু বলেন, ‘৬ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে চাল নিতে এসেও পেলাম না। কার সাথে কথা বললে চাল পাওয়া যাবে?’
নূর ভানুর মতো একই অবস্থা রতন, মতিশ, নিরঞ্জনসহ অন্তত ২৫ জনের। তারা কেউ আজ মঙ্গলবার রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়েও চাল কিনতে পারেননি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দেশব্যাপী লকডাউন থাকা সত্ত্বেও হেঁটে দূর-দূরান্ত থেকে চাল নিতে আসা কর্মহীন মানুষের দীর্ঘ লাইন নাজিরপুর মোড়ে। সেই ১০ টাকা কেজির চাল জনপ্রতি ৫ কেজি করে ২০০ জনকে দেওয়ার কথা। কিন্তু ৭০-৮০ জনকে দেওয়ার পরই চাল বিতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে ক্রেতারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। কিন্তু চাল না পাওয়া ব্যক্তিদের আগামী বৃহস্পতিবার আবার আসতে বলেন ডিলার বিল্পব কৃষ্ণ রায়। এতে করে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রচণ্ড রোদে দাঁড়িয়ে থেকেও কিনতে পারেননি অন্তত ২৫ জন। পরে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যান তারা।
এ বিষয়ে উপসহকারী খাদ্য কর্মকর্তা ও চাল বিতরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার সিবলী নোমান জানান, পৌর সদরে ওএমএস’র এক টন চাল পাঁচ কেজি করে ২০০ জনের মধ্যে বিতরণ করার নির্দেশনা রয়েছে। অনেকেই চাল পাননি বলে তিনি স্বীকার করেছেন।
ওএমএস’র চাল সপ্তাহে তিনদিন বিতরণ করা হয় বলেও জানান চাল বিতরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার সিবলী নোমান।
৭০-৮০ জনকে চাল দিয়ে বিতরণ বন্ধ করা হয়েছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ডিলার বিপ্লব কৃষ্ণ রায় বলেন, ‘চাহিদা তো অনেক। ২০০ জনকে চাল দিয়ে বিতরণ বন্ধ করা হয়েছে।‘
Comment here