নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনার ডেল্টা ধরনের ব্যাপক বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আনতে আগামীকাল শনিবার থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে শুরু হতে যাচ্ছে গণটিকাদান কর্মসূচি। এই কর্মসূচি মাধ্যমে ছয় দিনে ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আজ শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের সভাকক্ষে টিকা কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম। তিনি এই পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন সংবাদ সম্মেলনে।
এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদানের পরিসর বাড়াতে যাচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে আগামী ৭ থেকে ১২ অগাস্ট ছয় দিনে সারা দেশের ১৫ হাজারের বেশি টিকাদান কেন্দ্রে প্রায় ৩২ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হবে।’
এর আগে ৭ অগাস্ট থেকে সাত দিনে প্রায় এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার কথা বললেও শেষ মুহূর্তে তা কমিয়ে আনা হলো। খুরশীদ আলম জানান, ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী সবাইকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলা হলেও ছয় দিনের কর্মসূচিতে তা হচ্ছে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. খুরশীদ আলম বলেন, ‘১৮ বছর বয়সীদের অনেকের ভোটার আইডি কার্ড নেই। এতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। তাই টিকাদানের বয়স ১৮ না করে ২৫ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ওই বয়সসীমার ওপরে যারা আগেই সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন, তাদের নিবন্ধনের সময় উল্লেখ করা কেন্দ্রে গিয়েই এসএমএস পাওয়ার ভিত্তিতে টিকা নিতে হবে।’
ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন এলাকায় ছয় দিনের বিশেষ ‘ক্যাম্পেইনের’ টিকাদান আলাদাভাবে পরিচালিত হবে। পঁচিশোর্ধ্ব যারা নিবন্ধন করতে পারেননি, তারাও এ সময় টিকা নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। খুরশীদ আলম বলেন, ‘পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়স্ক জনগোষ্ঠী, নারী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠী এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।’
ছয় দিনের টিকাদান কর্মসূচি : ৭ আগস্ট দেশের সব ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। ৭ থেকে ৯ আগস্ট সিটি করপোরেশন এলাকায় ভ্যাকসিনেশন চলবে। ৮ ও ৯ আগস্ট ইউনিয়নের যেসব ওয়ার্ডে ৭ তারিখ নিয়মিত টিকাদান চালু ছিল, সেসব ওয়ার্ডে এবং পৌরসভার বাদ পড়া ওয়ার্ডে টিকা দেওয়া হবে। এই সময়ে দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় টিকাদান করা হবে। ১০ থেকে ১২ আগস্ট ৫৫ বছরের বেশি বয়সী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মাঝে টিকাদান কার্যক্রম চলবে।
৭ থেকে ১২ আগস্টের মধ্যে প্রতি জেলায় এক দিন করে এই কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. খুরশীদ আলম।
Comment here