নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বব্যাংকসহ বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা কৃষিতে ভর্তুকি দিতে বাধা দিয়েছিল। তারপরও সব বাধা দূর করে সরকার ভর্তুকির টাকা সরাসরি কৃষকের হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার রাজধানীর একটি বেসরকারি হোটেলে ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২১’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ কৃষককে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড দিয়ে যাচ্ছি। মাত্র ১০ টাকায় কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ১৯৯৬ সাল থেকেই আমরা বর্গা চাষিদের বিনা জামানতে কৃষি ঋণ দেওয়া শুরু করি। আমাদের লক্ষ্য ছিল ব্যাংক কৃষকের কাছে পৌঁছে যাবে।’
দেশের মানুষের প্রথম চাহিদা খাদ্য- এমনটি উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের খাদ্য দিতে হবে। এজন্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। যদি কেউ ঋণ না দেয়, তাহলে নিজেদের পয়সায় দেবো।’
খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ এখন গুরুত্ব দিচ্ছে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারে বলেও উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘জমির আইলগুলো তুলে দেওয়া গেলে ফরিদপুর জেলার সমান চাষযোগ্য জমি পাওয়া যেত। বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না, জাতির পিতার এই লক্ষ্য নিয়ে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।’
‘বাংলাদেশ ৯৮ সালে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। সে সময় খালেদা জিয়া বলেছিলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার প্রয়োজন নেই। বিদেশের কাছে পরনির্ভরশীল হওয়ার জন্য বিএনপি এই কথা বলেছিল’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল করে রাখা এবং উন্নয়ন বন্ধ করতেই হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে হয়তো আরও ৪০ বছর আগেই বাংলাদেশ উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতো।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান দিনভর চলবে। এবারের খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ, ভালো উৎপাদনে ভালো পুষ্টি, আর ভালো পরিবেশে উন্নত জীবন’।
Comment here