লালমনিরহাট উপজেলায় হাঁড় কাঁপানো ঠান্ডা জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

লালমনিরহাট উপজেলায় হাঁড় কাঁপানো ঠান্ডা জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে

মোঃ রশিদুল ইসলাম, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি: গত কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশার পাশাপাশি মৃদু শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকায় শীতে ও ঠান্ডায় কাঁপছে জেলার কয়েক লাখ মানুষ। প্রতিনিয়ত শীতের তীব্রতা সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। দিনের  বেলায় কিছুক্ষণ  সূর্যের দেখা গেলেও  ঠান্ডা কমনি  উপজেলায়  । রাতে ঘন কুয়াশার কারণে জেলার যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। যতই দিন যাচ্ছে শীতেও ঠান্ডার তীব্রতা ততই বাড়ছে। প্রচন্ড ঠাণ্ডার কারণে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, কোল্ড এলার্জি ও ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগ দেখা দিয়েছে। সব চেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে  ধরলা নদীর চরাঞ্চলের লোকজন। ঠান্ডার  কারণে বিপাকে পড়েছে দিন মজুর শ্রেণীর লোকজন। ঠান্ডার  কারণে বাইরে কাজ করতে যেতে না পাওয়ায় তাদের ঘরে খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। অন্য দিকে শীত বস্ত্রের অভাবে কষ্ট করছে।

লালমনিরহাটের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ৪ দিকে ধরলা নদী বেস্টিত জেলায় শীত মওসুমে শীতের তীব্রতা অন্য যে কোন জেলার চেয়ে বেশি। বিগত বছরের তুলনায় এবার অনেক আগে থেকেই শীত জেঁকে বসেছে। স্থলভাগের তুলনায এই শীতে চরাঞ্চলগুলোর মানুষের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি। জনবসতিপূর্ণ এসব চরের প্রায় শতভাগ মানুষই শীতবস্ত্রহীন। এসব এলাকার মানুষের ঠান্ডা  নিবারনের অবলম্বন বলতে ধানের খড় কুটোর আগুনের তাপ। ঠান্ডা  নিবারন হয়না বলে চরের ভূমিহীনরা ঘরের দুয়ারে খড়-গোবরের মুঠিয়া জ্বালিয়ে রাখেন সারারাত। রাতে দুই কাঁথায় তাদের ঠান্ডা  কাটে।

ছেলেমেয়েদের পরনে গরম কাপড় নেই। একদিকে অভাব-অনটন, অন্য দিকে শীত বস্ত্রহীন দিনরাত অতিবাহিত করছে এ জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ। গবাদি পশুকেও প্রচন্ড ঠান্ডার  দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেক স্থানে গবাদি পশুর বাচ্চা মরে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঠান্ডার ও শীতের  কারনে গন্তব্য যেতে কয়েক ঘন্টা সময় বেশি লাগছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

Comment here