তীব্র শীতেও ৩৮ ঘণ্টা ধরে অনশনে ঢাবির ৪ ছাত্র - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
শিক্ষাঙ্গন

তীব্র শীতেও ৩৮ ঘণ্টা ধরে অনশনে ঢাবির ৪ ছাত্র

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে প্রথমে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন দর্শন বিভাগের ছাত্র সিফাতুল ইসলাম। পরে আরও তিন জন তার সঙ্গে যোগ দেন। তীব্র শীত উপেক্ষা করেই দুদিন ধরে তাদের সেই কর্মসূচি চলছে।

চার দফা দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন করছেন এই শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- অবিলম্বে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে; এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করতে হবে; ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে।

অনশনকারী সিফাতুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখানে বসেছি চার দফা দাবি নিয়ে। মূলত ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে আমরা বসেছি। আমরা ৩৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অনশন করছি। এখন পর্যন্ত প্রশাসন থেকে কেউ আসেনি দেখা করতে, তবে বন্ধুরা এসেছে।’ শীতে কষ্ট হলেও বোনের ধর্ষণের বিচারের তুলনায় এটা তেমন কিছু না বলেও জানান তিনি।

এদিকে রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আজও সকাল থেকেই আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়ে ধর্ষকের বিচারের দাবি জানাচ্ছেন তারা।

মঙ্গলবার সকালেই শতাধিক শিক্ষার্থী ব্যানার ফেস্টুন হাতে আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করেন। বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরাও পৃথকভাবে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।

এ সময় জোবায়দা নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা একটি পশুর বিরুদ্ধে আজ রাজু ভাস্কর্য দাঁড়িয়েছি। আমরা আশাবাদী সরকার এর সুষ্ঠু বিচার করবে। সরকার চাইলে পারবে বিচার করতে। আমরা চাই ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হোক।’

রুকাইয়া জান্নাত নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা একজন ধর্ষকের বিচার দাবিতে এখানে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা ধর্ষকের বিচার চাই। সরকার ধর্ষকের বিচার করবে বলে আমরা আশাবাদী।’

উল্লেখ্য, রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শেওড়া যাওয়ার উদ্দেশে ঢাবির বাসে ওঠেন ওই শিক্ষার্থী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে শেওড়ার বিপরীত পাশে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামেন তিনি। সেখানে অজ্ঞাত ব্যক্তি মুখ চেপে তাকে পাশের একটি স্থানে নিয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করে।

রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে আবিষ্কার করেন। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গন্তব্যে পৌঁছান ওই ছাত্রী। পরে রাত ১২টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।

Comment here