গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় ইটভাটার এক শ্রমিককে শিকলে বেঁধে তিনদিন ধরে নির্যাতন চালানোর অভিযোগে ইটভাটার দুই ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুই ম্যানেজার হলেন মো. স্বপন ও আবু শামা। নির্যাতনের শিকার ওই শ্রমিকের নাম রাম বসাক (৩৫)। তিনি গুরুদাপুরের পাশের উপজেলা তাড়াশ সদরের বাসিন্দা।
আজ রোববার সকালে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম। তিনি জানান, গ্রেপ্তার দুজনকে কারাগারের মাধ্যমে নাটোর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গুরুদাসপুরের সাহাপুর গ্রামের এএসবি ব্রিকস নামের আব্দুর রহিম মোল্লার ইটভাটায় মাটি তৈরির কাজ করতেন শ্রমিক রাম বসাক। অভাবে পড়ে বর্ষা মৌসুমে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে সিরাজুল ইসলাম নামের এক সর্দারের মাধ্যমে অগ্রিম শ্রম বিক্রি করেন তিনি। চার মাস আগে কাজ করে ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন তিনি। কিন্তু সর্দার সিরাজুলসহ কয়েকজন শ্রমিক পালিয়ে যাওয়ায় রাম বসাককে শিকলবন্দী করে নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় রাম বসাকের বাবা ছুটু বসাক গুরুদাসপুর থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ গতকাল দিবাগত রাতে ইটভাটার ম্যানেজার স্বপন ও আবু শামাকে গ্রেপ্তার করে।
ইটভাটা মালিক আবদুর রহিম মোল্লা দাবি করেন, তার ভাটায় কাজ করার জন্য শ্রমিক সর্দার সিরাজুল ইসলাম অগ্রিম ১৫ লাখ টাকা নিয়েছেন। এর মধ্যে শ্রমিকের কাজ করে ৯ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। পলাতক সর্দার সিরাজুলকে ধরতেই রাম বসাককে আটকে রাখা হয়েছে। তবে নির্যাতন করা হয়নি।
রাম বসাকের বাবা ছুটু বসাক অভিযোগ করেন, কাজের জন্য শ্রমিক সর্দারের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়েছিল রাম বসাক। সেই টাকা পরিশোধ হলেও ছেলেকে তিন দিন ধরে শিকলে বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়েছে।
Comment here