মোঃআলাউদ্দীন মন্ডল : রাজশাহী করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য আরেকটি ল্যাব স্থাপন করতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে আরেকটি পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিন এসেছে। দ্বিতীয় ল্যাবটি স্থাপন করা হবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের হাই ডিপেডন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ)। এ জন্য এরই মধ্যে সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা রোগিদের অন্য স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। রামেক হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা আজ রোববার ১১ই এপ্রিল ২০ইং তারিখ। দুপুরে এইচডিইউ ইউনিট পরিদর্শন করেছেন। তার সঙ্গে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। পরে ফলে হোসেন বাদশা নিশ্চিত করেছেন যে এখানে আরেকটি ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তারা আরেকটি পিসিআর মেশিন পেয়েছেন। তিনি জানান, উত্তরাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতাল একটা ভরসার জায়গা।
সে জন্য এর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি মনে করেন, সন্দেহজনক করোনা রোগির যত বেশি পরীক্ষা করা যাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা তত বেশি সহজ হবে। সে জন্য তিনি আরেকটি ল্যাব স্থাপনের দিকে মনোযোগী হন। তারা আরেকটি পিসিআর মেশিনও আনতে পেরেছেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ল্যাব চালু করা সম্ভব হবে বলেও মনে করেন তিনি। বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগি শনাক্ত হবার পরই রাজশাহীতে ল্যাব স্থাপনের জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করেন রামেক হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা। তার প্রচেষ্টায় আসে পিসিআর মেশিন। এরপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগে দ্রুত ল্যাব প্রস্তুত করে মেশিনটি স্থাপন করা হয়। পয়লা এপ্রিল থেকে ল্যাবটি চালু হয়েছে। এখন সেখানে প্রতিদিন সেখানে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। পরীক্ষায় রাজশাহী বিভাগের কোনো রোগির এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়নি। তারপরেও সতর্ক রয়েছেন সবাই। চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত আছেন হাসপাতালের চিকিৎসক এবং নার্সরা। ইতোমধ্যে চিকিৎসক ও নার্সদের কয়েকটি দলকে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। রোববার হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা তাদের মানসিক শক্তি জোগাতে সাহস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সবাই মিলেই কঠিন সময় মোকাবিলা করতে হবে। রামেক হাসপাতালে করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগের রোগি এলে যেন চিকিৎসা করা যায় তার জন্য এইচডিইউ ভবনটিকেই প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই ভবনেই রয়েছে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)। ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে সেখানে রোগিদের কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস নিশ্চিত করারও ব্যবস্থা রয়েছে। ভেন্টিলেটরের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আমরা আশা করি না যে এখানে করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হয়ে কেউ চিকিৎসা নিতে আসুক। সবাই সুস্থ থাকুক, নিরাপদে থাকুক-সেটাই আমরা চাই। তারপরেও আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হচ্ছে। করোনার পরীক্ষা যত বেশি করা যাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা তত সহজ হবে। সে জন্য আমরা আরেকটি ল্যাব করছি। তিনি বলেন, আমরা আমাদের কাজটি করছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তারা যেন অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের না হন। সাধারণ মানুষকে বলব, আপনারা ঘরে থাকুন। সব ধরনের সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন।
Comment here