সারাদেশ

স্বামী-সন্তান ফেলে প্রেমিকের বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা গৃববধূ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : স্বামী-সন্তান ফেলে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে উঠেছেন অন্তঃসত্ত্বা এক সন্তানের জননী এক গৃহবধূ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চন্দ্রা (কাপালী) গ্রামে।

আজ সোমবার সকাল থেকে ওই নারী তার প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন। এদিকে এ ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিক নিজ বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।

স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে মুঠোফোনে উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চন্দ্রা গ্রামের (কাপালী) কম্পিউটার ও ডিস লাইন ব্যবসায়ী মো. হেলাল হাওলাদারের (২৫) সঙ্গে পাশের হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ রাওঘা গ্রামের এক কন্যা সন্তানের মা ওই নারীর (২২) পরিচয় হয়। ফোনে কথা বলার এক পর্যায়ে তারা দুজনে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।

ওই নারী জানান, বেশ কিছুদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। এরমাঝে এক বছর আগে মোবাইলে হেলালের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। হেলাল তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দেওয়ায় প্রায় ৭-৮ মাস আগে তিনি স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এ সুযোগে হেলাল তাকে নিয়ে কুয়াকাটাসহ বিভিন্নস্থানে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ঘুরে বেড়ান। এমনকি হেলালের বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে তার কম্পিউটারের দোকানেও তারা একাধিকবার রাত্রিযাপন করেছেন। যে কারণে তিনি বর্তমানে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে ওই নারীসহ হেলালকে তার দোকানের মধ্যে থেকে আটক করে গ্রামবাসী। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসার জন্য হেলাল ও তার পরিবারের সদস্যদের রোববার পর্যন্ত সময় দেয়। কোনো ফায়সালা না হওয়ায় আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে ওই নারী হেলালের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় হেলালের মা ও ভাইয়ের স্ত্রী তাকে মারধর করেছেন বলেও ওই নারী স্থানীয়দের জানিয়েছেন।

পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেওয়া ওই অন্তঃসত্ত্বা নারী স্থানীয় লোকজনের সামনে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘হেলালের জন্য আমার স্বামী-সন্তান-সংসার সবই শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে আমি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এখন আমাকে যদি হেলাল বিয়ে না করে তাহলে আমার মৃত্যু ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

তবে এ বিষয়ে হেলালের মা আয়শা বেগম বলেন, ‘স্থানীয় কিছু লোক আমার ছেলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে টাকার জন্য ওই মেয়েটিকে আমার বাড়িতে পাঠিয়েছে। আমার ছেলে কোনো অপরাধ করে নাই, তাকে আমরা খুঁজে পাচ্ছি না।’

ওই নারীর স্বামী বলেন, ‘গত ৬-৭ মাস আগে আমাদের দেড় বছরের শিশু কন্যাকে আমার বাড়ি রেখে আমার স্ত্রী বাপের বাড়িতে চলে গেছে।’

এ বিষয়ে আমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর আলী বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ওই নারী তার প্রেমিকের বাড়িতেই অবস্থান করছে। থানায় অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Comment here

Facebook Share