নিজস্ব প্রতিবেদক : নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ এরফান সেলিম। আজ সোমবার তার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। র্যাব- ১০’র এক কর্মকর্তা আমাদের সময়কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে একই মামলায় হাজী সেলিমের গাড়ি চালক মীজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) রবিউল ইসলাম আজ দুপুরে গাড়িচালককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়েছেন।
গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি কলাবাগান সিগন্যালের পাশে হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তাকে মারধর করা হয়। ইতিমধ্যেই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ওয়াসিম আহমেদকে রক্তাক্ত দেখা যায়। ভিডিওতে তাকে মারধর করে তার দাঁত ভেঙে ফেলা হয়েছে দাবি করলেও জিডিতে এ কথা উল্লেখ করা হয়নি।
জিডিতে ওয়াসিফ আহমেদ উল্লেখ করেছেন, তিনি ও তার স্ত্রী মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়ি তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা সামলে সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থেকে নেমে গাড়িটির সামনে দাঁড়ান ওয়াসিম। তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে গাড়ি থেকে জাহিদ ও আবু বক্কর সিদ্দিকসহ আরও ২-৩ জন তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। তাকে ও তার স্ত্রীকে হত্যার হুমকিসহ তুলে নেওয়ার হুমকি দেয় তারা।
এদিকে, ঘটনার পর পর গাড়িটি ফেলে এর নম্বর প্লেট ভেঙে চলে যান হাজী সেলিমের ছেলে ও তার বডিগার্ডরা। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছে, মারধর করা ব্যক্তি হাজী সেলিমের ছেলে ও তার বডিগার্ড। তবে হাজী সেলিমের তিন ছেলের মধ্যে কোন ছেলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
এ ব্যাপারে ধানমন্ডি থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল্লাহ জাহিদ জানান, সাংসদ হাজী সেলিমের জিপ গাড়ির সঙ্গে নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল সামান্য ঘষা লাগায় প্রথমে কথা কাটাকাটি, এরপর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল ও গাড়িটি জব্দ করে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
Comment here