দৌলতখান (ভোলা) প্রতিনিধি : ভোলার দৌলতখান উপজেলায় মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দক্ষিণ ভবানীপুর মসজিদ সংলগ্ন স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো. মফিজুল ইসলমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী চাকরিপ্রত্যাশী উম্মে কুলছুম দৌলতখান থানা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত নয় মাস আগে প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলাম তার মাদ্রসায় চাকরি দেওয়ার নামে নানা খরচ দেখিয়ে উম্মে কুলছুমের কাছ থেকে ৪৭ হাজার টাকা নেন। পরে মাদ্রাসার ঘর নির্মাণের জন্য তিনি আরও ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দাবি করেন। এ ছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও মাদ্রাসার প্রধান হিসেব আরও ৫০ হাজার টাকা না দিলে চাকরি দেওয়া হবে না বলে ওই নারীকে চাপ দেন।
ভুক্তভোগী এসব দাবি পূরণে অপরগতা প্রকাশ করেন। পরে জমা দেওয়া সকল কাগজপত্র ও ৪৭ হাজার টাকা ফেরত চাইলে প্রধান শিক্ষক তা না দিয়ে ভয়ভীতি দেখান। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ওই চাকরিপ্রত্যাশী থানায় ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘উম্মে কুলছুম এ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করবে না বলে তার প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র নিয়ে গেছেন। তিনি যেসব অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাজান আলী শেখ জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান জানান, উম্মে কুলছুল বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
Comment here