নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর রূপনগরে স্ত্রীর সহযোগিতায় প্রতিবেশীর ১১ বছর বয়সী শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক মুদি দোকানির বিরুদ্ধে। গত রবিবার দুপুরে রূপনগরের ৯ নম্বর সড়কের ২৫১/এ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে গতকাল সোমবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠিয়েছে পুলিশ।
ধর্ষণকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগে শিল্পী বেগম নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে তার স্বামী অভিযুক্ত মুদি দোকানি মো. শাহজাহান সিকদার (৫০)। মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল রূপনগর থানায় ওই দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী শিশুটির মা।
পেশায় গার্মেন্টসকর্মী মামলার বাদী জানান, সপরিবারে তারা রূপনগরের একটি টিনশেড বাসায় ভাড়া থাকেন। শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ে। অভিযুক্ত দম্পতিও তাদের এলাকায় বসবাস করেন। গত রবিবার সকাল ৮টার দিকে মেয়েকে বাসায় রেখে গার্মেন্টসে যান তিনি। দুপুর সোয়া ১টার দিকে খাওয়ার জন্য এসে দেখতে পানÑ তার মেয়ে অভিযুক্ত দম্পতির ঘরে বসে কান্নাকাটি করছে। ঘটনার বিষয়ে তাকে কিছু না বলার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করছেন আসামি শাহজাহান ও তার স্ত্রী শিল্পী বেগম। একপর্যায় শিশুটির শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে দেখে তিনি মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বিস্তারিত জানেন। পরে ওই দম্পতি শিশুটির মাকেও ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য প্রথমে মীমাংসার চেষ্টা করেন। তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দেন আসামিরা।
ভুক্তভোগী তার মাকে জানায়, বাসায় একা পেয়ে রবিবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে শাহজাহান তার মুখ চেপে হাত বেঁধে ধর্ষণ করে। প্রচুর রক্তক্ষরণে মেয়েটির অবস্থা বেগতিক দেখে শাহজাহানের স্ত্রী ভিকটিমের পরনের রক্তমাখা জামা-কাপড় পরিবর্তন করে ধুয়ে ফেলে।
আলামত ধ্বংস করতে শিশুটিকে গোসলও করান তিনি। এর পর ধর্ষণের কথা কাউকে না বলতে চাপ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রূপনগর থানার এসআই দেবরাজ চক্রবর্তী আমাদের সময়কে বলেন, ‘ধর্ষণকা-ের ঘটনায় দুই আসামির মধ্যে অভিযুক্ত শাহজাহানের সহযোগী তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
Comment here