নিজস্ব প্রতিবেদক :মশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কিছুটা ভুল হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আজ শুক্রবার বিকেলে নগরীর ডেমরাস্থ ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের করিম জুট মিলস মাঠে ফুটবল খেলা পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।
মশার উপদ্রব প্রসঙ্গে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আমি এর আগেও বলেছি- আমাদেরকে বিশেষজ্ঞমহল যে পরামর্শ দিয়েছিলেন সেটা হলো, তারা মনে করেছেন- যেহেতু ডেঙ্গুর প্রকোপটা ডিসেম্বর পর্যন্ত আছে সেহেতু ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদেরকে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা তাই করেছি। সে জায়গাতেই আমার মনে হয়েছে যে কৌশলে আমাদের একটু ভুল আছে। আমাদেরকে নভেম্বর থেকেই কিউলেক্স মশার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া আরম্ভ করা উচিত ছিল। কারণ, নভেম্বরে শীত আসার সাথে সাথেই পানির গভীরতা কমতে শুরু করায় পানি কলুষিত হয়ে গেছে এবং ময়লা আবর্জনার কারণে কিউলেক্স মশার জন্য তা প্রজনন উপযোগী স্থান হয়ে গেছে।’ এ বছরে এপ্রিল থেকে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে এবং নভেম্বর থেকে কিউলেক্স মশার বিরুদ্ধে কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানান মেয়র।
এসময় জমি অধিগ্রহণ করে প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ করার কথা জানান মেয়র। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের ছেলেরা যেন মাঠে ফিরে আসে, খেলাধুলা করে। কিন্তু আমরা দেখেছি যে, প্রতিটি ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত খেলাধুলার জায়গা নেই। আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সাথে সাথে আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলাধুলার জায়গা সৃষ্টিতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এরইমাঝে আমরা কয়েকটি ওয়ার্ড কিছু জায়গা উদ্ধার করেছি। সেগুলোক খেলার উপযোগী করার জন্য ইতোমধ্যে আমরা কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। ৪২ নম্বর, ২৬ নম্বর, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে আমরা উদ্ধার করা সেই জায়গাগুলোতে খেলার মাঠ করে দিচ্ছি। এটা দুরূহ কিন্তু একটু কষ্ট হলেও আমরা আশাবাদী যে, পর্যায়ক্রমে আমরা সফলতা পাবো। প্রয়োজন হলে জমি অধিগ্রহণ করে হলেও আমাদের সন্তানদের জন্য আমরা খেলার মাঠ করে দেবো।’
ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমরা ‘আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২১’ আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে ঢাকাব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ছেলেদের মাঝে ব্যাপক আনন্দ উল্লাস সৃষ্টি হয়েছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, ডিএসসিসির ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদসহ স্থায়ী কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, অঞ্চল-৮ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
Comment here