অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর ফলে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া ও কিছু অঞ্চলে এটি ‘মারাত্মক পরিণতি’ ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আজ সোমবার সদস্য দেশগুলোর প্রতি এই সতর্কবার্তা দিয়েছে সংস্থাটি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সংক্রমণের ঢেউ ঠেকাতে বিশেষ গ্রুপের মানুষদের মধ্যে টিকাদানের হার বাড়ানো ও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনার যথার্থতা নিশ্চিত করতে বলেছে। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের এই ধরনে কেউ মারা না গেলেও বিশ্বের জন্য এটি বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। নতুন ধরনটির বিরুদ্ধে প্রচলিত কোভিড টিকা কার্যকর কিনা তা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট মহামারীর গতিপথও বদলে দিতে পারে বলেও সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এটি বলেছে, নতুন ভ্যারিয়েন্টের স্পাইক প্রোটিনে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৫০ বার অভিযোজন বা মিউটেশন হতে পারে। এর মধ্যে কিছু মিউটেশন উদ্বেগজনক।
ওমিক্রনে সংক্রমণ ও রোগের তীব্রতা বেড়ে গিয়ে তা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং অসুস্থতা ও মৃত্যু বাড়িয়ে দিতে পারে বলে জানানো হয়েছে। অরক্ষিত জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে কম টিকা দেওয়া দেশগুলোতে এর প্রভাব গুরুতর হতে পারে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে।
গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন শনাক্ত হয়। দেশটিতে এরই মধ্যে সংক্রমণ বেড়েছে। নেদারল্যান্ডস ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের আরও অনেক দেশেই ওমিক্রন ছড়িয়েছে। ফলে সীমান্ত বন্ধ করাসহ ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে অনেক দেশ। ডব্লিউএইচও বলেছে, ‘সব দেশের উচিত ঝুঁকির-ভিত্তিতে নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে সময়মতো আন্তর্জাতিক ভ্রমণ সংক্রান্ত সব পদক্ষেপ ঠিক করে নেওয়া। এ বিষয়ে পরে আরও পরামর্শ দেওয়া হবে।’
Comment here