নিজস্ব প্রতিবেদক ; কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাদের শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ও খোঁজখবর নিয়ে পর্যটক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন শহরের বাহারছড়া এলাকার আশিক। স্থানীয়রা তাকে সন্ত্রাসী হিসেবেই চেনেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত পৌঁনে ৮টার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান। তিনি জানান, ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয়েছে টুরিস্ট পুলিশকে। এ ছাড়া এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হোটেল ম্যানেজার রিয়াজউদ্দিন ছোটনকে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে ওই নারীকে একটি রিসোর্ট থেকে উদ্ধার করে র্যাব। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে সপরিবারে বেড়াতে গিয়ে ওই নারী গতকাল সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ করেছেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, ওই নারীকে আজ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা হবে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শাহীন মো. আবদুর রহমান চৌধুরী বলেন, ওই নারীকে ওসিসিতে রাখা হয়েছে। হাসপাতালে তাকে দুই থেকে তিন দিন রাখা হতে পারে।
ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী বলেন, গতকাল সকালে ঢাকা থেকে স্ত্রী ও আট মাসের সন্তানকে নিয়ে তিনি কক্সবাজার বেড়াতে যান। বিকেলে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ঘুরতে যান। বালুচর দিয়ে হেঁটে পানির দিকে নামার সময় এক যুবকের সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
ওই ঘটনার জেরে সন্ধ্যায় তার স্ত্রীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানে নিয়ে তিনজন তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। তারপর একটি রিসোর্টে নিয়ে তাকে আটকে রাখা হয়। পরে দুর্বৃত্তরা কক্ষের দরজা বাইরে থেকে লক করে চলে যায়। এসব ঘটনা যেন কাউকে না জানানো হয়, সে নিয়ে ভয়ভীতিও দেখানো হয়।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, এক ব্যক্তির সহায়তায় তিনি দরজার লক খোলেন। তখন তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দেন। সেখান থেকে বলা হয় থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার জন্য। তারপর এক ব্যক্তির সহযোগিতা তিনি কল দেন র্যাব-১৫-তে।
Comment here