ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ শক্তিশালী আকার ধারণ করায় যেকোনো ভাবেই হোক বাংলাদেশে আসবেই। মূলত খুলনা অঞ্চল দিয়েই এই ঝড় আসবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামছুদ্দিন আহমদ। তাই খুলনা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত থেকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জানানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামছুদ্দিন আহমদ ‘ফণী’ নিয়ে এক বিফ্রিংয়ে এসব তথ্য জানান।
শামছুদ্দিন আহমদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল, সেখান থেকে এখন উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে। বর্তমানে মোংলা থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। চারদিকে বাতাসের বেগ ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রবাহিত হচ্ছে এ কারণে ভারতীয় উপকূল অতিক্রম করার পরও বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা আছে ফণীর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, উপকূল অতিক্রম না করলেও ফণী বাংলাদেশে আসবে। যেকোনো ভাবেই হোক ফণী বাংলাদেশে আসবেই। মূলত খুলনা অঞ্চল দিয়েই এই ঝড় আসবে, তাই খুলনা ও পায়রা বন্দরকে ৪ হুঁশিয়ারি সংকেত থেকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, খুলনার পাশাপাশি ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর এলাকায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত থাকবে।
এ ছাড়া চট্টগ্রামকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী ও চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর এলাকায় ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজারকে এখনো ৪ নম্বর সংকেতই দেখানোর কথা বলা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে উপরোক্ত জায়গায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তার থেকে ৫ ফিট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান শামছুদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা ও ঝড় হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া ৩ মে সন্ধ্যায় মূল আঘাত হানতে পারে।
Comment here